দুলাভাইকে গাছে বেঁধে শ্যালিকাকে গণধর্ষণ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দুলাভাইকে গাছে বেঁধে শ্যালিকাকে গণধর্ষণ করেছে স্থানীয় বখাটেরা। ঘটনার তিনদিন পর তরুণীর চিকিৎসা শেষে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুন্দিরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সোনারগাঁ উপজেলায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার বিকেলে গণধর্ষণের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশের একাধিক টিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূল হোতা সেলিম ও আজিজুলকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃত সেলিম উপজেলার মুন্দিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে এবং একই গ্রামের আলী রহমানের ছেলে আজিজুল।

এদিকে, গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণী আদমজী ইপিজেটের পোশাক কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুন্দিরপুর গ্রামে তরুণী তার দুলাভাই মো. আলমের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওই দিন রাত ১২টার দিকে ওই তরুণীর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে ঘর হতে বাহিরে বের হয়। এসময় ওঁৎ পেতে থাকা একই এলাকার বখাটে সেলিমের নের্তৃত্বে ডালিম, আজিজুল, আলমসহ ৭/৮জনের একটি দল ওই তরুণীকে মুখ চেপে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।

বিষয়টি তরুণীর দুলাভাই টের পেয়ে তাদের পিছু নিলে স্থানীয় বখাটেরা আলমকে কাঠবাগানে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এরপর তার সামনেই শ্যালিকাকে বখাটেরা রাতভর গণধর্ষণ করে।

পরে তরুণীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। বিষয়টি শুক্রবার সকালে এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় আনোয়ার ও মঞ্জুরকে ধর্ষকরা ম্যানেজ করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। পরে আনোয়ার ও মঞ্জুর রোববার বিকেলে তরুণীর দুলাভাইসহ অন্য আত্মীয়-স্বজনদের বিচার করার শান্ত্বনা দেয়। এরপর রহস্যজনক কারণে বিচার করা নিয়ে টালবাহানা করেন তারা। তরুণী স্থানীয়দের কাছ থেকে বিচার না পেয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অন্যদিকে মুন্দিরপুর এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সেলিমের নের্তৃত্বে ডালিম, আজিজুল, আলমসহ ১০/১৫জনের একটি দল এলাকায় মাদক ব্যবসা, সেবন, অন্যের জমি দখলসহ বিভিন্ন প্রকার অপকর্ম করে আসছে। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তারা এই রকম জঘন্য কাজ এর আগেও একাধিকবার করেছে।

সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. মঞ্জুর কাদের বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই বখাটেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।



মন্তব্য চালু নেই