দুর্নীতি তদন্তে দুর্নীতি!!

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী কর্মকর্তা মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করে উধাও হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির কর্মকান্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করা হযেছে। ফলে বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগী আট দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তারা উধাও হওয়া কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছেন।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাইনের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী প্রকল্পের প্রশিক্ষকদের ভাতার টাকা না দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রকল্পের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে আত্মগোপনে থাকা সংক্রান্তএকটি সংবাদ গত শুক্রবার বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হয়।
ওই সংবাদের পর জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোয়েব ফারুক ও কাজী মফিজুল ইসলামকে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে ধীরগতি ও অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠার অভিযোগে প্রতারিত কর্মকর্তাদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়।
ফলে প্রকৃত ঘটনা তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের সহযোগীতা চেয়ে ভুক্তভোগী আট দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, জেলা প্রশাসক বরিশাল, দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের বরাবরে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছেন।

ভুক্তভোগী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম হারুন-অর রশিদ, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পুতুল রানী মন্ডলসহ একাধিক সরকারী কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, জেলা প্রশাসক, প্রকল্প পরিচালক, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উৎকোচ দেয়ার কথা বলে তাদের নামেমাত্র সম্মানি ভাতা দিয়ে পুরোটাকা ওই কর্মকর্তা (যুব উন্নয়ন অফিসার) আত্মসাত করেন।
তারা আরও জানান, ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী প্রকল্পের প্রশিক্ষকদের ভাতার টাকা না দেওয়াসহ কোন মালামাল, আসবাবপত্র ক্রয় না করেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রকল্পের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে গত এক মাস থেকে আত্মগোপন করেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাইন।



মন্তব্য চালু নেই