দুর্গাপুরে দম্পতি খুন : এক বছরেও কিনার হয়নি হত্যা রহস্য

তোবারক হোসেন খোকন, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা): নেত্রকোণার দুর্গাপুরে শয়ণ কক্ষে গলা কেটে স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় একবছর পেরিয়ে গেলেও এর কোন কিনার করতে পারেনি পুলিশ। ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর উপজেলার মধ্যবাজারের নিজের বাসা সুবর্ণা প্লাজার তিন তলার শয়ণ কক্ষে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন অরুন কুমার সাহা (৮২) ও তাঁর সহধর্মিনী হেনা রাণীর সাহা (৭২)।

খুনের তিনদিন পর ২৬অক্টোবর নিহতদের বড় ছেলে সুজিত সাহা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে দুর্গাপুর থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে সময়ের দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান জানান, হত্যাকান্ডের পর পুলিশ এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করে এবং কোন সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এর পর মামলাটির তদন্তে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি না হওয়ায় এর তদন্তভার হস্তান্তর হয় পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেসটিগেশন ডিপার্টমেন্টে (সিআইডি)‘ উপর। সিআইডিতে দুইবার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়ে দায়িত্ব পান জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) শংকর কুমার দাস। মামলার অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করা যায়নি। প্রায় ১৫ দিন হয় মামলাটির তদন্তভার পেয়েছি। বিভিন্নদিক মাথায় রেখে তদন্ত কাজ চালাচ্ছি। আশা করছি এই হত্যা রহস্যের জট খুলতে পারবো। মামলার বাদি নিহতের ছেলে সুজিত সাহা ক্ষোভের সাথে বলেন, এক বছর হয়েছে এখনও খুনের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। যে ঢিলে-তালে তদন্ত চলছে তাতে বাবা-মায়ের খুনীরা ধরা পড়বে বলে মনে হয়না। তিনি দ্রুত খুনিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

দুর্গাপুর উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী সাহা বলেন, ব্যবসায়ীরা খুনিদের গ্রেপ্তার চেয়ে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, হরতাল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি পালন করেছেন। এলাকার সব সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ রাজনৈতিক দলগুলোও ব্যবসায়ীদের সাথে আন্দোলন করেছেন। তিনি বলেন, আমরা প্রকৃত ঘাতকদের গ্রেপ্তার ও এই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক নির্মলেন্দু সরকার বাবুল ক্ষোভের সহিত বলেন, দম্পতি হত্যায় জড়িতদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই