দুদক এখন দুর্নীতি রক্ষা কমিশন : রিপন

দুর্নীতিন দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতির অভিযুক্তদের দায়মুক্তি দিচ্ছে অভিযোগ তুলে বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামন রিপন বলেছেন, এই প্রতিষ্ঠানটি এখন দুর্নীতি রক্ষা কমিশনের রূপ নিয়েছে।

তিনি বলেন, দুদকে দুষ্টের দমন হচ্ছে না, বরং শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও তাদের ক্লিন ইমেজের সার্টিফিকেট দিচ্ছে। অন্যদিকে বিরোধী দলের নামে মামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দুদক একচোখা নীতি অবলম্বন করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।

বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিপন বলেন, ‘মানবাধিকার কমিশন, নিবার্চন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এই প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করছে না। এগুলো সরকারের ডিকটেটর হয়ে কাজ করছে। তারা যে শপথ নিয়েছিলেন তা ভুলে গেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) না রেখে দুর্নীতি রক্ষা কমিশন (দুরক) রাখা যায় কী না সেটা ভাবছে মানুষ।’

বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে দুদক দুর্নীতির দুই মামলা চালাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সম্পতি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। এটা কোনো সরকারি সম্পত্তি নয়।

তিনি বলেন, জনগণের কাছে খালেদা জিয়ার ইমেজে কালিমা লেপনের জন্যই এ মামলা পরিচালনা করা হচ্ছে। দলের আইনজীবীরা মামলাটি বাতিলের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু মামলা বাতিল না করে দুদক বহাল রেখেছে। আইনী প্রক্রিয়ায় এ মামলা চলতে পারে না, সরকার সম্পূর্ণ গোয়ার্তুমি করে এ মামলা পরিচালনা করছে।

বিএনপির মুখপাত্র আরো বলেন, শাসক দলের ৩শ’ নেতার বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করবে না বলে দুদক জানিয়েছে, অথচ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেওয়া মামলাগুলো সচল রেখেছে। এভাবে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা সচল রেখে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে দেওয়া মামলা প্রত্যাহার চলবে না। সকল দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। যদি এক চোখা হয় তাহলে আমরা প্রতিবাদ করবো, প্রতিবাদ করে যাচ্ছি।

দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরীর মামলা প্রসঙ্গে রিপন বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার অভিযোগ বলতে লজ্জা হয়। মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের জন্য লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার কী সিদ্ধান্ত নেবে তাদের ব্যাপার। তবে কুলাঙ্গারদের এড়িয়ে চলতে পারলে ভাল। দুই চারজন বাদ দিলে দলের কিছু আসে যায় না।’

সংবাদ সম্মলেনে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, যুববিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই