বেহাল দশায় সাতক্ষীরার কলারোয়া-আইচপাড়া রাস্তা

দুই পাড়ে পাকা আর মাঝখানে কাদা বয়ে চলে যায়…

বেহাল দশায় রূপ নিয়েছে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে আইচপাড়া গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি। কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা আর দেখভালের অভাবে রাস্তাটি শুধু জীর্ণদশায় পড়েনি এলাকার সাধারণ মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে আর মহাসমস্যায়। ‘এ পাড়ে আমি আর ওই পাড়ে তুমি, মাঝখানে নদী বয়ে চলে যায়’ কথাটি যেন রাস্তাটির ক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে- ‘এ পাড়ে পাকা আর ওই পাড়ে পাকা, মাঝখানে ৪’শ মিটার কাদা বয়ে চলে যায়।’ কলারোয়ার কেঁড়াগাছি আর সাতক্ষীরা সদরের বাশদহার এ সংযোগ সড়কটির বেহাল দশা যেন দেখারও উপায় নেই। ওই সংযোগ সড়কের আইচপাড়া গ্রামের অংশে রাস্তার দুই মাথায় যতসামান্য পাকা থাকলেও মাঝখানে ৪’শ মিটার কাচা রাস্তা থাকায় সেই পাকা অংশের কোন মূল্যই যেন নেই। কেননা ৪’শ মিটার কাচা রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে এতটাই খানাখন্দক ও হাটুসমান কাদা হয় যে সেখান দিয়ে চলাচল তো দূরের কথা, রাস্তার কথা মনে পড়লেই প্রাণে ভয় চলে আসে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আইচপাড়ার এ বেহাল দশা পূর্ণ রাস্তাটির দুই মাথায় পাকা আর মাঝখানে প্রায় ৪’শ মিটারের মত রাস্তাটি কাচা। এ সামান্য কাচা রাস্তাটুকুর অধিকাংশ স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার পানি জমে কোথায় যে ভালো আর কোথায় যে খন্দ তা বোঝার উপায় নেই। সামান্য বর্ষা হলেই রাস্তায় জমে যায় হাটু পানি আর হাটু-কাদা। রাস্তার কাদা দেখে মনে হয় ধান রোপনের জন্য তৈরীকৃত জমি। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই এমন বিপদাপন্ন অবস্থায় রূপ নেয় যে, রীতিমত বন্ধ হয়ে যায় সব ধরণের যানবাহন ও পায়ে হাটা চলাচল। একান্ত প্রয়োজন মেটানোর জন্য মানুষ ৮/১০ কিলোমিটার রাস্তা বেশী পাড়ি দিয়ে ঝাউডাঙ্গা-কলারোয়া হয়ে জেলা সদর বা অন্যান্য স্থানে যাতায়াত করে। এ এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা গামী ছাত্রছাত্রীদের সময়মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোঁছানো অধিকাংশ সময় বেগ পেতে হয় বলে জানা গেছে। এলাকার কৃষকরা তাদের কৃষিপণ্য সময়মত স্থানীয় হাট-বাজারে পোঁছাতে না পারায় পণ্যের ন্যায্য মূল্য হতে বঞ্চিত হতে হয়। ফলে ক্ষতির স্বীকার হয় সাধারণ কৃষক। জনদূর্ভোগ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে অবিলম্বে রাস্তাটি পাকা করণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ভূক্তভোগীরা জোর দাবি জানিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই