দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত কৃষক ছবেদ আলীর পরিবার

তিন বেলা ভাতই খাইতে পারি না বাজান (বাবা)। সেমাই, চিনি, নতুন জামা কাপড় কিনবো কি দিয়ে? পরের জমিতে কাজ করে যে কয়টা টাকা পাই তা ছেলেদের ওষুদ কিনতেই শেষে হয়ে যায়; এভাবেই কথা গুলো বলে কেঁদে ফেললেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের কান্দি। বানিয়ারী গ্রামের বৃদ্ধ কৃষক ছবেদ আলী (৭০)। তিনটি ছেলে পঙ্গু থাকার কারনে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই পরিবারটি।

জানাগেছে, ছবেদ আলীর ছেলে তিনটি জন্ম থেকে পঙ্গু নয়। সমাজের আর দশটি শিশুর মতো এরাও এক সময় ছিল সুস্থ্য সবল। অন্যান্য শিশুর মতো এরাও এক সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করেছে। প্রতিটি পঙ্গু ছেলে ১০-১২ বছর পর্যন্ত স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা ও খেলাধুলা করেছে বলে জানিয়েছেন ছবেদ আলী। এর পর কোন এক অজানা রোগে ফুট ফুটে তিনটি শিশুর হাত পা শুকিয়ে যেতে থাকে। প্রথমে এলাকার চিকিৎসকের কাছে তাদের চিকিৎসা করায়। কোন ফল না পেয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েও কোন ফল হয়নি। ছবেদ আলীর ধারনা উন্নত চিকিৎসা করাতে পারলে ছেলে ইস্রাফিল (২৬),ইজাবুল (২৩),এনামুল (১৭) সুস্থ্য হয়ে উঠতো।

পঙ্গু তিন ছেলের চিকিৎসার খরচ যোগাতে জমি জমা যা ছিল বিক্রি করে তারা এখন নিঃস্ব। তার পরেও ছবেদ আলী ছেলেদের চিকিৎসা করাতে চায়। এ ব্যাপারে দেশের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

অপর দিকে ছবেদ আলীর আছমা খানম নামে একটি বিবাহ যোগ্য মেয়ে রয়েছে। মেয়েটি সুস্থ্য-স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করছে বলে জানিয়েছেন ছবেদ আলীর স্ত্রী। তিনটি ছেলে পঙ্গু থাকার কারনে কোন ছেলে মেয়েটি বিবাহের আসছে না। মেয়েটি এখন ছবেদ আলীর গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই