ইসরায়েলকে হামাস

‘দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হও’

গাজায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় কায়রো বৈঠকে মিশরীয় মধ্যস্থতাকরীদের দেয়া প্রস্তাবকে ‘অপর্যাপ্ত’ বলে নাকচ করে দিয়েছে সশস্ত্র ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস। তারা জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরায়েলি অবরোধ পুরোপুরি তুলে না নেয়া পর্যন্ত অন্য কোনো প্রস্তাবে তারা রাজি হবে না এবং অস্ত্রবিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার পর পরই তারা লড়াই চালিয়ে যাবে।

সোমবার রাতে গাজায় পাঁচ দিনের অস্ত্রবিরতি শেষ হতে যাচ্ছে।

হামাসের ছোঁড়া রকেট হামলা প্রতিহত করার অজুহাত তুলে গত ৮ জুলাই গাজায় হামলা শুরু করেছিল ইসরায়েল সেনাবাহিনী। ওই হামলায় প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল যাদের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে হামাসের রকেট হামলায় নিহত হয়েছে ৬৭ ইসরায়েলি। এদের অধিকাংশই সেনা সদস্য।

গাজা সংঘাত বন্ধে মিশরের মধ্যস্থতায় গত কয়েক দিন ধরে কায়রোতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি দল।।

গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামি গোষ্ঠি হামাস শনিবার জানিয়েছে, স্থায়ী অস্ত্রবিরতির জন্য তাদের প্রধান দাবি হচ্ছে, এই উপত্যকার ওপর থেকে ইসরায়েল ও মিশরীয় অবরোধ তুলে নেয়া। পাশাপাশি তাদের নিজস্ব বিমানবন্দর ও নৌবন্দর স্থাপণেরও অনুমতি দিতে হবে। এসব দাবি পূরণ না হলে তারা গাজায় কোনো স্থায়ী অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে রাজি হবে না। এক্ষেত্রে দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য ইসরায়েলকে প্রস্তুত থাকারও হুমকি দিয়েছে হামাস।

এ প্রসঙ্গে হামাসের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান ওসমান হামদান তার ফেসবুকে বলেছেন,‘ইসরায়েলকে অবশ্যই ফিলিস্তিনি জনগণের দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় তাদের দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

এদিকে মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের দেয়া প্রস্তাবে এখনো সম্মত হয়নি ইসরায়েল। এ সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ইসরায়েল এখন অব্দি কোনো প্রস্তাবে রাজি হয়নি। নিজের দেশের নিরাপত্তা স্বার্থ নিয়ে সন্তুষ্ট হলেই কেবল তারা চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে।’

তবে গাজা থেকে সীমিত আকারের অবরোধ তুলে নিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। বিনিময়ে গাজাকে সম্পূর্ণরুপে নিরস্ত্রকরণ করতে হবে। মিশরের প্রস্তাবেও একই শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে যা নাকচ করে দিয়েছে হামাস।

এদিকে রোববার কায়রোতে আবরো আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছেন দু পক্ষের প্রতিনিধিরা।



মন্তব্য চালু নেই