দীর্ঘস্থায়ী ও সুখী দাম্পত্যের রক্ষাকবচ

সুখে দুঃখে একসঙ্গে দিন কাটানোর উদ্দেশ্যে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন স্বামী-স্ত্রী। প্রয়াস থাকে, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ভালোলাগা আর খারাপলাগাকে ভাগাভাগি করে নেবে। এই পবিত্র সম্পর্ককে ঘিরেই দুজনের মনে যত পরিকল্পনার জাল বোনা। দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমানে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলেছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার। একসঙ্গে থাকার ইচ্ছা থাকা শর্তেও নানা কারণে সংসার ভেঙে যাচ্ছে। তখন জীবনে নেমে আসছে অমাবস্যার কালো ছায়া। তাই বিচ্ছেদ নামক অশুভ ছায়াকে এড়াতে নিজের দাম্পত্য জীবনের প্রতি হতে হবে খুবই যত্নশীল। আসুন, আজ জানা যাক একটি দীর্ঘস্থায়ী ও সুখী দাম্পত্যে রক্ষাকবজ হিসেবে কোন কোন বিষয় জরুরি হতে পারে?

মনের সম্পর্ক
বর্তমান সময়ে ঘটে যাওয়া বিবাহ বিচ্ছেদের মূল কারণ হল দুজনের মনের সম্পর্কের ঘাটতি। মানুষের সামগ্রিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে থাকে মন। একটি মনের সঙ্গে আরেকটি মনের যোগাযোগ থেকেই বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর যদি সেই দুই মনের যোগাযোগ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তাই আপনার বিবাহিত জীবনকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সঙ্গীর সঙ্গে মনের যোগাযোগটা ঠিকমত থাকা দরকার।

একে অপরকে সম্মান
একটি সম্পর্ক তখনই স্থায়ী হবে যখন দুজন দুজনকে প্রাপ্য সম্মান ‍দিতে শিখবে। সম্পর্কে কেউ কারও চেয়ে বড় না। দুজনকেই সমান মর্যাদায় সমান ভালোবাসার। প্রিয় মানুষটির মতামতের মূল্যায়ন করতে শিখতে হবে। তার সামগ্রিক বিষয়কে অর্থাৎ তাকে সম্মান করতে হবে, তাহলে বিবাহিত জীবনটি দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব।

দাম্পত্য২আপস করার মানসিকতা
বিবাহিত সম্পর্কটিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চাইলে দুজনের মাঝেই আপস করার মানসিকতা থাকতে হবে। ঝগড়া হলে দুজনেই মুখ বন্ধ করে বসে থাকলে সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরা শুরু করবে। তাই দুজনার মাঝেই আপস করার মানসিকতা থাকতে হবে। তাহলে সম্পর্কটিকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

আর্থিক স্বচ্ছতা এবং স্বাধীনতা
বিবাহিত জীবনে আর্থিক স্বচ্ছতার বিষয়টি খুবই জরুরি। পৃথিবীর সব কিছুর মূলে অর্থ প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে একটি সংসার যদি আর্থিকভাবে স্বচ্ছ না হয় তাহলে সংসারটি টিকিয়ে রাখা দুষ্কর হয়ে পড়ে। পাশাপাশি আর্থিক স্বাধীনতাটিও গুরুত্বপূর্ণ। দুজনারই আর্থিক স্বাধীনতা অর্থাৎ নিজের ইচ্ছামত খরচ করার স্বাধীনতা থাকতে হবে। তাই বিবাহিত জীবনের স্থায়িত্বের জন্য সংসারে আর্থিক স্বচ্ছতা বা স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।

ভালোবাসকে ধরে রাখুন
বিবাহিত জীবনে ভালোবাসার উপস্থিতি অনেক বেশি দরকার। দিনদিন এই ভালোবাসাকে দ্বিগুন করার চেষ্টা করুন। মন্দলাগাকে আশ্রয় না দিয়ে ভালোবাসুন আরও বেশি করে। কখনই আপনাদের সাংসারিক জীবন থেকে ভালোবাসাকে হারিয়ে যেতে দেবেন না। বরং ভালোবাসা বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করুন।



মন্তব্য চালু নেই