ফলোআপ :

দিনাজপুরে হাকিমপুরে ভুয়া হাসপাতালের মালিক ও ভুয়া ডাক্তারকে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারে ২ বছর কারাদন্ড, ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা

দিনাজপুরে হাকিমপুর উপজেলার হিলিতে সরকারের অনুমতি ব্যতিরেখে হাসপাতাল চালু করার নামে কর্মচারী নিয়োগে ৬০ লক্ষ টাকা গ্রহণে আত্মসাৎ করার অভিযোগে ১ জন ভুয়া ডাক্তারকে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দোষী সাব্যস্তে ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
দিনাজপুর হাকিমপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোকলেসুর রহমান জানান, আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টায় হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আজাহারুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় ভুয়া ডাক্তার ফাহমিদুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্তে এই কারাদন্ডে দন্ডিত করার আদেশ দেন।
অভিযোগে প্রকাশ, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মুন্সিপাড়া মহল্লায় ফহিমউদ্দীনের পুত্র ফাহমিদুল ইসলাম নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে গত নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে হাকিমপুর উপজেলার হিলি বাজারে মধ্যবাসুদেবপুরে বাকডোর প্লাজার দোতালা ভবন ভাড়া নেয়। ওই ভাড়া বিল্ডিংয়ে বেসরকারীভাবে পরিচালিত লায়ন হাসপাতালের সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেয়। এরপর থেকে ওই হাসপাতাল পরিচালনার জন্য সেবিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ফিজিসিয়ান, ডায়াগনষ্টিক বিভাগের বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন পদে ১২৫ জনকে নিয়োগ দেয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তির পর ১২৫ জনের নিকট থেকে বিভিন্নভাবে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা জামানত হিসেবে গ্রহণ করে। এছাড়াও লায়ন হাসপাতালের নামে ওই বিল্ডিংটি ডেকোরেশন করতে হিলি বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে আসবাবপত্র, পর্দার কাপড় ও আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতি প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বাকীতে গ্রহণ করে। হাসপাতালটি আগামী ৭ ডিসেম্বর উদ্বোধনের জন্য প্রচারণাও চালায়। বিষয়টি লোকজনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সন্দেহের উদ্বেগ দেখা দিলে এবং যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হবে তাদের মধ্যে নিয়োগ নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হলে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করে। সূত্রটি জানায়, এই বিষয় নিয়ে হাকিমপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে এধরনের কোন হাসপাতাল পরিচালনার অনুমতি না নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। গতকাল সোমবার রাতে পুলিশ ভুয়া ডাক্তার ফাহমিদুলকে আটক করে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টায় এসব অভিযোগের ভিত্তিকে তাকে দোষী সাব্যস্তে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় উক্ত কারাদন্ডে দন্ডিত করার আদেশ প্রদান করেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তাকে পুলিশ প্রহরায় দিনাজপুর জেল কারাগারে প্রেরণ করা হয়।##

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
হাবিপ্রবি’র উপাচার্য ছাত্রশিবিরের সাথে গোপন
বৈঠক করে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন
হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) এর উপাচার্য এখন ছাত্রশিবিরের সাথে গোপনে বৈঠক করে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশ চরিতার্থ করার জন্য অন্যায়ভাবে ছাত্রলীগের ৩ ছাত্রনেতাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাবিপ্রবি’র ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও ছাত্রলীগের সভাপতি ইফতেখারুল ইসলাম রিয়েল এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, অন্যায় অনিয়মতান্ত্রিক এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ না দিয়েই উপাচার্য প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন তদন্ত ব্যতিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ ছাত্রকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করেছেন। আমরা মনে করি এই সিদ্ধান্ত ফাঁসির সমতুল্য। ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য সেসময় ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের সশস্ত্র ক্যাডারেরা হাবিপ্রবিতে ব্যাপক ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালিয়ে প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি বিনষ্ট করেছিল। ক্যাডারদের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছিলেন শিক্ষকরা। অথচ সেই সশস্ত্র ক্যাডারদেরই বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কোন আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে বরং শিবিরের ক্যাডারদের সেমিষ্টার পরীক্ষা ও ব্যবহারিক পরীক্ষা দিনাজপুর জেলা কারাগারে গ্রহণ করে এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়েছেন। সেদিনের ঘটনার জন্য ছাত্র পরামর্শক অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন খান লিখনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হলেও ১১ মাসেও সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি। অথচ ১৫ মিনিটের নাটকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অরুন কান্তি রায়সহ ৩ ছাত্র নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকা সত্বেও কোন কারণ ছাড়াই হটকরি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রোববার ২ ঘন্টার নোটিশে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। সোমবার পুলিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের অন্যায়ভাবে হল থেকে বের করে দেয়ার মাধ্যমে প্রশাসন স্বৈরাচারী আচরণের পরিচয় দিয়েছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে ছাত্র সমাজের কাছে প্রমানিত হয়েছে যে, উপাচার্য ছাত্রশিবিরের ক্যাডারদের স্বার্থ রক্ষায় অনেক বেশি আপোষহীন ও সচেষ্ট। ইতিমধ্যে উপাচার্য তার বাসভবনে ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল হুদা ও সাবেক সভাপতি আরিফুজ্জামান আরিফসহ শিবির নেতৃবৃন্দের সাথে গোপন বৈঠক করে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার উস্কানি দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে ৩ ছাত্র নেতার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ উপাচার্যকে অপসারিত করার দাবী জানানো হয় হাবিপ্রবি’র আচার্য রাষ্ট্রপতির নিকট। বহিস্কারাদেশের বিরুদ্ধে রীটসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অরুন কান্তি রায়, জিয়া হলের সভাপতি জাহিদ হাসান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আহসান হাবিব রিজভি, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের রনি কুমার সাহা, আহসান হাবিব শাওন ও সামিনুর হোসেন এবং ভেটেরিনারী ছাত্র এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিফাত শাহ প্রমুখ।
পরে প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।##

 

৩টি মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ উপেক্ষিত
নবাবগঞ্জে ৫০ লাখ টাকার গাছ কেটে আত্বসাত : প্রশাসনের রহস্যজনক ভুমিকা
সরকার যেখানে বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার কর্মসুচী বাস্তবায়ন করছে সেখানে নবাবগঞ্জ উপজেলায় প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ১০৬৫টি গাছ কেটে আত্বসাতের ঘটনা ঘটেছে। যার আনুমানিক মুল্য ৫০ লাখ টাকা।এ ব্যপারে অভিযোগ দায়েরের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়, ভুমি মন্ত্রনালয় এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিলেও জেলা প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নিয়ে রহস্যজনক কারনে নিশ্চুপ রয়েছে। গাছ কর্তনের সঙ্গে জড়িতরা বহাল তবিয়তে আছে।
জানা গেছে, নবাবগঞ্জ উপজেলার ৬ নং ভাদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সম্প্রতি তার এলাকায় ঘাউরা আদীবাসি গ্রাম থেকে লাঠিপুর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তার দুই পার্স্বে ৪৫৫টি ইউকিলিপটাস ,শিশু ও মেহগিনি গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়। এর পর রোস্তমপুর কদমতলী হতে লাঠিপুর ৩ কিলোমিটার রাস্তায় ৫০০টি এবং ইটাপুর হতে বাজিতপুর ১১০টি  গাছ সরকারী অনুমোদন ছাড়াই ৬নং ভাদুরিয়া ইফনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল আহসানুল কবির শামীম গাছগুলি কর্তন করে বিক্রি করে দেয়। গাছগুলির আনুমানিক মুল্য ৫০ লাখ টাকা।
এ ব্যপারে ভাদুরিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল করিম লাভলু ও সাইফুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা  সৈয়দ ফরহাদ হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিয্গে দায়েরের পর ৬ জলুাই নবাবগউপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটি সভায় বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এর পরও নির্বাহী অফিসার কোন কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে নিশ্চুপ থাকেন। উপজেলা প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে অভিযোগকারীরা  স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । এর প্রেক্ষীতে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ে  সিনিয়র সহকারী সচিব শরীফা আহমেদ স্মারকে সবি/সাবঅ-৩০/০৭(অংশ-২)/৪৪০ নং প্রেরীত পত্রে  দিনাজপু জেলা প্রশাসক বরাবর  বিষয়টি তদন্ত কতে বলেন।  মন্ত্রনালয়ৈর  লিখিত নির্দেশে স্থানীয় সরকার ( ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৪ {১} অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে মামলা দায়েলে নির্দেশ দেন।
একই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন  পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়। মন্ত্রনালয়ের স্মারকে । পবম/০৬/২০১৪/২৮৮ বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের  উপ সচিব মোঃ হাসান গত ৩১ আগষ্ট এক লিখিত নির্দেশনামায় বিভাগীয় বন কর্মকতাকে যারা গাছ কর্তন এ সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন।
গত ২৮ নভেম্বর ভুমি মন্ত্রনালয়ের খাস জমি শাখা খাস জমি শাখা , বাংলাদেশ সচিবালয় ৩১/০২৭,১৪ স্মারকে চেয়ারম্যানসহ দোষীদের বিরুদ্ধে আনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। । ৩টি মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ থাকা সত্বেও জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন নি।
এলাকাবাসীর চাপের মুখে পরবতীতেজেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্মারক ৬২৭(৯) ব্যবস্থা নিতে বললে নবাব গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সৈয়দ ফরহাদ হোসেন ৯ নভেম্বর  ৬ নং ভাদুরিয়া ইফনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  বাবুল আহসানুল কবির শামীম গাছ কর্তন করে আত্বসাৎ এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে   অভিযোগ তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকতাকে আহ্বায়ক করে ৫ সদষ্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করেন । তদন্ত টিমকে আগামী  ১০ দিনের মধ্যে রিপোট দিতে বলা হয়।।
এুদকে উপজেলা একটি সুত্র জানিয়েছে, ৫ সদস্যের তদন্ত রিপোট থেকে মুল অভিযুক্ত  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল আহসানুল কবির শামীম এর নামটি বাদ দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা চাপ দিচেছন।
নবাবগঞ্জ উপজেলাবাসীর দাবী কোন খুটি জোরে ৩টি মন্ত্রনালয়ের নির্দেশকে উপেক্ষা করে জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন  ইফনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল আহসানুল কবির শামীম এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থ নিতে পারছে না।

 

চিরিরবন্দরে আকবারিয়া কোম্পানির ৬০ হাজার টাকার মাল নিয়ে আত্মসাতের চেষ্টা
দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া সাহাপাড়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে রুমান বাবু তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভুষিরবন্দর নামক স্থানে গত ০৭/০৮/২০১৪ইং তারিখে আকবরিয়া কোম্পানির বিভিন্ন সামগ্রীর ৬০ হাজার টাকার মালামাল ক্রয় করেন। কিন্তু টাকা দিচ্ছি দিব বলে কালক্ষেপণ করতে থাকলে আকবরিয়া কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার উত্তম শর্মা এলাকাবাসীর নিকট ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত করালে গত ৩০/০৮/২০১৪ইং তারিখে একটি অঙ্গিকার নামা পত্রে নিজ হাতে লেখে দেন যে, আগামী ৩০শে নভেম্বর ২০১৪ইং তারিখে ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ থাকলেও তিনি টাকা না দিয়ে বিভিন্ন প্রকার তাল বাহানা শুরু করে দিয়েছেন।

 

পরিশ্রম মানুষের জীবনকে উন্নতি দেখায়
দিনাজপুর জেলা সমবায় অফিসার
মো.নুরুন্নবী বাবু দিনাজপুর প্রতিনিধি ২ ডিসেম্বর, ২০১৪ ॥
দিনাজপুর জেলা সমবায় কর্মকর্ত, মোঃ সেলিমুল আলম শাহীন বলেছেন, পরিশ্রম মানুষের জীবনকে উন্নতি দেখায়। লটারী বা র‌্যাফেল ড্র’এর মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন হয় না। ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে সততার সাথে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার চিরিরবন্দর উপজেলায় রাণীরবন্দরে সমবায় অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কাম টু সেভ (সিটিএস) বহুমূখী সমবায় সমিতি লিঃ এর আয়োজনে সমবায় বাজারে র‌্যাফেল ড্র’এর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করতে গিয়ে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। কাম টু সেভ (সিটিএস) বহুমূখী সমবায় সমিতি লিঃ এর সম্পাদক মোঃ আমিনুল হক এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ১নং নশরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নূর-এ-আলম সিদ্দিকী নয়ন, রাণীরবন্দর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আমিনুল হক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ লুৎফর রহমান। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন কাম টু সেভ (সিটিএস) বহুমূখী সমবায় সমিতি লিঃ এর ব্যবস্থাপক (অর্থ ও প্রশাসন) সুব্রত কুমার দাস। প্রধান অতিথি বিজয়ী র‌্যাফেল ড্র’র ভাগ্যবান কুপন নং ০০৭৯৪, ০১৮১৫, ০০০৭৭, ০১৯৩৭, ০০৩৯৫, ০১৫৭৮, ০১৫০৮, ০০৮৮৫, ০১৪৯৫, ০১৮২৬, ০১৪২৯, ০০৭২২, ০১৮৪০, ০১৪৮৯, ০০৬৩৩ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

 

দিনাজপুরে বিশ্ব এইডস দিবস পালিত
মো.নুরুন্নবী বাবু দিনাজপুর প্রতিনিধি ২ ডিসেম্বর, ২০১৪ ॥
বিশ্ব এইডস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় “এইচআইভি সংক্রমণ ও এইডস মৃত্যু নয় একটিও আর, বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়বো সবাই, এই আমাদের অঙ্গীকার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে খানসামায় বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়।
ল্যাম্ব এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ দিনাজপুর প্রোগ্রাম ইউনিটের সহযোগীতায় ১ ডিসেম্বর খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী খানসামা পাকের হাটের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডা: মো: কামাল হোসেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, খানসামা। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন- শাহজাহান আলী,সহকারী স্বাস্থ্য পরিদশর্ক আলোকঝাড়ী, মো:আব্দুস সামাদ, স্বাস্থ্য পরিদশর্ক খানসামা, মিজানুর রহমান, উপজেলা ম্যানেজার ল্যাম্ব, ডা: মো: মোশায়ের উল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার খানসামা, মো: আব্দুস সালাম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খানসামা। বক্তারা দিবসটির প্রতিপাদ্য নিয়ে বিভিন্ন বিশ্লেষনধর্মী বক্তব্য তুলে ধরেন। এছড়া ল্যাম্ব এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ দিনাজপুর প্রোগ্রাম ইউনিটের সহযোগীতায় খানসামা উপজেলার সকল ইউনিয়নে দিবসটি পালন করা হয়। বক্তারা বলেন, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত। এ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে প্রায় ৭৫ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।বাংলাদেশে শুধু ২০১৩ সালেই এইচআইভি আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮২ নারী ও পুরুষ। ২০১০ সালে যা ছিল ৩৭ জন। ২০১৩ সালে ২৭০ জনের শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ ঘটে। যার মধ্যে ৯৫ জনের শরীরে এটি এইডস আকারে রূপান্তরিত হয় এবং ঐ সংখ্যক মানুষ মারা যায়। দেশে গত ২৫ বছরে এই মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্য ৪৭২ জন। পৃথিবীতে এইচআইভি নিয়ে বসবাস করছে তিন কোটি ৫০ লাখ মানুষ। এদের মধ্যে ওষুধ পায় মাত্র এক কোটি ৩৬ লাখ মানুষ। অর্থাৎ ৩৪ শতাংশ রোগী ওষুধ পায়।



মন্তব্য চালু নেই