দিনাজপুরে নিখোঁজ ১৩ জনের অনুসন্ধান শুরু

শাহ্ আলম শাহী, স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকেঃ জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত দিনাজপুরের খানসামা, চিরিরবন্দর ও ঘোড়াঘাট এই ৩টি উপজেলায় ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। এই ১৩ জনের ব্যাপারে থানায় ১২টি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।তবে একজনের বিষয়ে কোন জিডি কিংবা অভিযোগ করা হয়নি। পুলিশ প্রশাসন নিখোঁজদের বিষয়ে জঙ্গী ও নাশকতার সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখতে ব্যাপকভাবে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

দিনাজপুর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক রবিউল ইসলাম জানান, জেলার ৩টি উপজেলা ঘোড়াঘাট, খানসামা ও চিরিরবন্দরে দীর্ঘদিন নিখোঁজ ১৩ জনের ব্যাপারে জঙ্গী ও নাশকতার সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখতে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

নিখোঁজদের মধ্যে ঘোড়াঘাটে ১০ জন, খানসামায় ২ জন ও চিরিরবন্দরে ১ জন নিখোঁজ ব্যক্তির নাম রয়েছে। নিখোঁজদের পক্ষে তাদের পরিবারকে সংশ্লিষ্ট থানায় ১২টি জিডি করেছে।

ঘোড়াঘাট উপজেলায় নিখোঁজ ১০ জন হলেন, সাহেবগঞ্জ মাজারপাড়া গ্রামের মোঃ তাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ সাইদুর রহমান (২২), কশিগাড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ তরিকুল ইসলাম (১২), শ্যামপুর পূর্ব কলেজপাড়ার নিরঞ্জন চন্দ্র সরকারের ছেলে সুজন চন্দ্র (১৯), ঋষিঘাট গ্রামের মোঃ হোসেন আলীর ছেলে মোঃ সামিউল ইসলাম (২৭), পশ্চিম পালশা গ্রামের মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম (২০), নন্দনপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর রশিদের ছেলে মোঃ আব্দুল হাদি (১৯), চেচুড়া গ্রামের মোঃ ইয়াসিন আলীর ছেলে মোঃ আমজাদ হোসেন (২৭), কলাবাড়ী গ্রামের মোঃ লুৎফর রহমানের ছেলে মোঃ সারওয়ার হোসেন (২৫), পালোগাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ মন্ডলের ছেলে মোঃ আবুল কাশেম (২৮) ও কশিগাড়ী গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে মোঃ আখতারুল ইসলাম (২৮)।ঘোড়াঘাটের নিখোঁজ ১০ জনের ব্যাপারে ২০১৫ সালের জানুয়ারী মাসে ২টি, ফেব্রুয়ারী, এপ্রিল, জুন, আগষ্ট ও সেপ্টেম্বরে ১টি করে ৫টি এবং অক্টোবরে ৩টি জিডি করা হয়।
খানসামা উপজেলার নিখোঁজ ২ জন হচ্ছেন, গোয়ালডিহি গ্রামের মোহাম্মদ হাকিমের ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২১) ও গোবিন্দপুর হলদিপাড়ার মৃত গোলাপ হোসেনের ছেলে মোঃ আশরাফুল আলম (২৪)। খানসামার নিখোঁজ ২ জনের ব্যাপারে ২০১৬ সালের ১১ ও ১৮ জুলাই থানায় জিডি করা হয়।

চিরিরবন্দর উপজেলায় তেতুলিয়া বাহারউদ্দীন সাহাপাড়ার মোঃ হবিবরের ছেলে নিখোঁজ মোঃ আনারুল হক (২২)। আনারুল জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত ভুষিরবন্দর এলাকার বাবর আলীর হাফিজিয়া মাদ্রাসায় কোরআনে হাফেজ হওয়ার পর ৩ বছর পূর্বে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। এরপর সে গত এক বছর পূর্বে বাড়ীতে এসে ১৫/২০ দিন থাকার পর আবারো চলে যায়। তার ব্যাপারে বাড়ী ও এলাকার কেউ কোন সন্ধান দিতে পারেনি।

দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল আমিন জানান, জেলার ১৩টি উপজেলায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের ব্যাপারে পুলিশ বিভিন্ন কৌশলে অনুসন্ধান শুরু করেছে। এ পর্যন্ত নিখোঁজ ১৩ জনের তথ্য পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, জেলায় নিখোঁজ ও আত্মগোপনে থাকা ব্যক্তি, যুবক ও কিশোরদের এ ব্যাপারে পুলিশের অনুসন্ধান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। নিখোঁজদের সাথে কোন ধরনের জঙ্গী বা নাশকতামূলক কর্মকান্ডের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সেটাও গুরুত্ব সহকারে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই