দিনাজপুরের ৭টি উপজেলার ৪০ টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দী

প্রবল বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে দিনাজপুর সদর, সেতাবগঞ্জ, চিরিরবন্দর,বিরল,খানসামা ও কাহারোল উপজেলার ৪০ টি গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতায় পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। পানি বন্দী হওয়া মানুষগুলো আশ্রয় নিয়েছে উচু জায়গা, বাধঁ এবং ঘরে। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ তাদের এই দূর্ভোগের কথা জেনেও খোঁজ নিচ্ছেনা কেউ।

গত ৩ ঘন্টায় রেকর্ড পরিমাণ ১৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের ফলে দিনাজপুরের ২টি নদীর পানি বিপদসীমা ছুইছুই করছে। প্রবল বর্ষণে জেলার অনেক নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দিনাজপুরে রেকর্ড পরিমাণ প্রায় ১৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে স্বল্প সময়ে এতো বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ছিল না। দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজিক্যাল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পূণর্ভবা নদীর পানি ৩৩ দশমিক ৩০ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচেছ। ভূষিরবন্দর পয়েন্টের করতোয়া নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে ৩৮ দশমিক ২২০ মিটার উপর দিয়ে । ফুলবাড়ীর ইছামতি নদীর পানি বিপদ সীমার কাছাকাছি ২৬ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচেছ।

এদিকে বিরলে উপজেলার্র রাজারামপুর গ্রামের ঢেপা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। খানসামা উপজেলার নদীতে একই অবস্থা। এতে হাজার হাজার মানুষ আতঙ্কীত অবস্থায় রয়েছে।

প্রবল বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে ৪০টি গ্রামের শত শত ঘরবাড়ি, আবাদী ফসল ও পুকুরের মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তবে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছে,বৃষ্টিপাত না হলে এ পানি সরে গেলে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তিপাবে মানুষ।



মন্তব্য চালু নেই