‘দারিদ্র্য জাদুঘরে চলে যাবে’

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম। কিন্তু ইতোমধ্যেই আমরা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে অগ্রসর হতে পেরেছি। আশা করছি, ২০২০-২১ সালের দিকে দারিদ্র্য জাদুঘরে চলে যাবে।’

বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন ও পল্লী বাউল সমাজ উন্নয়ন সংস্থা এর ‘ইলিমিনেশন অফ জেন্ডার গ্যাপ থ্রো মরমিগান- এ পপুলার ফোক আইটেম অফ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমাজ অগ্রগতিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। জাতীয়ভাবে আমরা লিঙ্গ বৈষম্য রোধ, দারিদ্র্য দূরীকরণ, প্রকৃতির দুর্যোগরোধ ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলার যুদ্ধ করছি। আর এ প্রকল্পটি লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে কাজ করবে। মনে রাখতে হবে, লিঙ্গ বৈষম্য দূর না হলে উন্নত, অসাম্প্রদায়িক ও শিক্ষিত দেশ গড়া সম্ভব না।’

বাউলদের লিঙ্গ বৈষম্যরোধে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ধর্ম বিশ্বাসীরা মানবের সন্তান হলে ধর্মান্ধরা শয়তানের সন্তান। এ সব বর্বর, দানব ও জঙ্গিবাদকে বর্জন করতে হবে। বাংলাদেশে তারা সাম্প্রতিককালে বর্বর-দানবের মতো কাজ করছে। এদের দূর করতে না পারলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। পাকিস্তান, আফগানিস্তানের জঙ্গি-তালেবান আর মধ্যপ্রাচ্যের আইএস এবং এরা একসূত্রে গাঁথা। আর এদের হাতের পুতুল খালেদা জিয়া।’

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘ধর্মান্ধদের হাতে বাউলরা বরাবরই নিগৃহীত হয়েছে। এমনকী লালনকেও তারা উচ্ছেদ করতে চেয়েছে। কিন্তু লালন টিকে গেছে। তাই এ সব ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে বাউলদের ভূমিকা রাখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে পল্লী বাউল উন্নয়ন সমাজ সংস্থা এর সভাপতি ফেরদৌসী নাজমা বলেন, ‘পরিবারে নারীর ক্ষমতায়ন ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, যৌতুক প্রথা ও অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে রোধ, প্রাথমিক শিক্ষার পর মেয়েদের ঝরে পড়া রোধে সচেতনতা তৈরি, গ্রামীণ নারী ও বয়ঃসন্ধী মেয়ের স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে এ প্রকল্প কাজ করবে।’

তিনি জানান, সুনামগঞ্জের ৮টি উপজেলার ৩টি করে ইউনিয়নে ২৪টি পালাগানের অনুষ্ঠান করা হবে এ প্রকল্পের আওতায়। ইউনিয়ন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত পশ্চাদপদ, দারিদ্র্যপীড়িত ও শিক্ষাবঞ্চিত অঞ্চলকে বাছাই করে সহজ-সরল ভাষায় গ্রামীণ জনগণের কাছে বাউলরা গান পরিবেশন করবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন এর সচিব মনজুর হোসেন, পল্লী বাউল উন্নয়ন সংস্থা এর প্রধান উপদেষ্টা আফরোজা হক প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই