দাম বাড়ালে দোকানিরা ছাড় পাবে না

রমজান মাসে খাদ্যে ভেজাল কিংবা সিটি করপোরেনের নির্ধারিত মূল্য তালিকা অমান্য করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ালে দোকানিদের কোনোরকম ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ‘আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত মনিটরিং ব্যবস্থা চালু রেখেছি। ৭টি টিম মাঠে রয়েছে। কেউ আইন না মানলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বুধবার (১৫ জুন) দুপুর ২টায় রাজধানীর কাপ্তান বাজার এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মেয়র।

সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমরা যথাযথভাবে মনিটরিং করে যাচ্ছি। কিছু কিছু দ্রব্যমূল্যে ১০-২০ টাকা এদিক সেদিক হচ্ছে। এটি সহনীয় পর্যায়ে আছে। মনিটরিং ব্যবস্থা চালু না রাখলে বাজার লাগামহীন হয়ে পড়তো। তাই আমাদের ৭টি টিম মাঠে কাজ করছে। যেখানেই ব্যত্যয় ঘটছে সেখানেই জরিমানা করা হচ্ছে।’

গুলিস্তানসহ রাজধানীর ফুটপাত দখল বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘ফুটপাতে জনসাধারণের চলাচলের জায়গা রেখে হকার্স বসতে দেয়া হচ্ছে। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে তাদেরকে ফুটপাত থেকে উঠিয়ে দেয়া হবে। আমি হকার্সদের বলে দিয়েছি তারা যাতে কাউকে কোনো চাঁদা না দেয়।’

শান্তিনগরের জলাবদ্ধতার বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘ফ্লাইওভার নির্মাণের কারণে সেখানে একটু সমস্যা হচ্ছে। এর পরও আমরা ঘোষণা দিয়েছি শান্তিনগরের জলাবদ্ধতা ৫০ ভাগ কমবে এবং ঘোষণানুযায়ী কমছেও।’

পরে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মো. নাজমুছ শোয়েব ও আবু সাঈদের নেতৃত্বে ভেজাল বিরোধী অভিযান মুরু হয়। অভিযানে ওজন যন্ত্রে ত্রুটি থাকায় ৩ দোকানিকে জরিমানা করা হয়।

জরিমানা দেয়া দোকানগুলো হচ্ছে- কাপ্তান বাজারের বাদশা মিয়া মাংস বিতান, মায়ের দোয়া ও কামরুল মাংস বিতান। এদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া নোংরা পরিবেশে খাবার বিক্রি ও মূল্য তালিকা না টাঙানোর দায়ে রওশন হোটেলকে ৪০ হাজার টাকা এবং ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় শিশু খাদ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান সালমা স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই