দাম কমতে পারে যে সব পণ্যের

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক কমানো বা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন।

এসব প্রস্তাব অনুমোদন পেলে ওই সব পণ্যের দাম কমবে তা হলো:

মোবাইল ফোনের সিম: মোবাইল অপারেটরদের সিমকার্ড ইস্যু ও প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৩০০ টাকা ও ১০০ টাকা শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে।

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার সহজলভ্য করার লক্ষ্যে সিমকার্ড ইস্যু ও প্রতিস্থাপন উভয় ক্ষেত্রেই কমিয়ে ১০০ টাকা শুল্ক-কর র্ধায করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাই নতুন সিমকার্ড ক্রয়ের ক্ষেত্রে দাম কমবে।

ক্যামেরা: তথ্য-প্রযুক্তিতে ব্যবহার্য ক্যামেরার দাম কমতে পারে। প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্য-প্রযুক্তিতে ব্যবহার্য ক্যামেরার শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

চকোলেট: চকোলেটের দাম কমতে পারে। চকোলেটের কাচাঁমালসহ ফিনিসড চকোলেটের সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। দাম কমতে পারে ওয়েফারেরও।
আমদানীকৃত মিষ্টি বিস্কুট: মিষ্টি বিস্কুটের দাম কমতে পারে।

দিয়াশলাই: দিয়াশলাইয়ের সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এর দাম কমতে পারে।

প্লাষ্টিক পণ্য: প্লাষ্টিক দিয়ে তৈরি বিভিন্ন জিনিসত্রে দাম কমতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে প্লাষ্টিকের তৈরি সেলফ, প্লেট, শিট, ফিল্ম ইত্যাদি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্লাস্টিকের তৈরি দরজা, জানালা ও ফ্রেমের সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে।

টিস্যু পেপার: টয়লেট পেপার, টিস্যু পেপার, টাওয়েল বা ন্যাপকিন পেপার বা সমজাতীয় পণ্য, গৃহস্থালী, সেনিটারি বা অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত টিস্যুর সম্পুরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে দাম কমতে পারে এসব পণ্যের।

ছাপানো বই: ছাপানো বই, লিফলেট, ছাপানো ছবি, ফটোগ্রাফ ও অন্যান্য ছাপানো পণ্য সামগ্রীর সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে দাম কমতে পারে এসব পণ্যের।

হাঁসমুরগি ও গবাদি পশুর খাদ্য: হাঁসমুরগি ও গবাদি পশুর খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহার্য কাচাঁমালের ওপর শুল্ক অব্যাহতি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে দাম কমতে পারে পশু খাদ্যের।

ঔষধ: ঔষধ শিল্পের কাচাঁমালে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ফলে দাম কমতে পারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঔষধের।
দেশীয় খেলনা: বাংলাদেশে খেলনা প্রস্তুত শিল্পের বিপুল সম্ভাবনাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য খেলনা উপকরণ আমদানিতে শুল্ক ও মূসক কমানো হয়েছে। থেলনা তৈরিতে ব্যবহার্য অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ আমদানিতে শর্ত সাপেক্ষে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক এবং মুসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই