দাম্পত্য জীবনে তৃপ্তি পেতে বিছানায় যে নিয়মগুলো মানতে হবে!

শুধু ভালো ঘুম নয় বরং ভালো দাম্পত্য সম্পর্কের জন্যও বিছানায় কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। কিন্তু নাহ! এই নিয়মগুলো শুধু যে যৌনতা সংশ্লিষ্ট তা নয়।

আর আপনি কীভাবে সঙ্গী বা সঙ্গীনির সাথে রাতে বিছানার সময়টুকু পার করেন তা থেকে আপনার দাম্পত্য সম্পর্কের ধরনও নির্ণয় করা সম্ভব। রাতে ঘুমের সময় বিছানায় সঙ্গী বা সঙ্গীনির সাথে বিচ্ছিন্ন থাকলে তা আপনার দাম্পত্য সম্পর্ককে ধ্বংস করতে পারে। যা আপনি টের পাওয়ার আগেই ঘটে যেতে পারে। একই ছাদের নিচে থেকে আপনারা আলাদা জীবন-যাপন শুরু করতে পারে।

দাম্পত্য সম্পর্ক অটুট রাখতে চাইলে রাতে বিছানার সময়টুকু পার করার রীতি-নীতি সম্পর্কে এখানে রইলো কয়েকটি পরামর্শ:

১) রাতে একসঙ্গে বিছানায় যান
দৈনন্দিন জীবনের মানসিক চাপ সামলাতে গিয়ে হয়তো আপনি দাম্পত্য জীবনের কিছু ছোটখাটো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ রীতি-নীতির কথা ভুলে যাচ্ছেন। যেমন, সঙ্গী বা সঙ্গীনির সাথে একত্রে বিছানায় যাওয়া। আজকাল অনেক দম্পতিই ভিন্ন ভিন্ন সময়ে রাতে বিছানায় যাওয়ার প্রবণতা প্রদর্শণ করেন। একজন হয়তো বই পড়ছেন বা টিভি দেখছেন আর অন্যজন ঘুম ঠেকিয়ে রাখতে না পেরে শুয়ে পড়লেন। যা পরিণতিতে এমনকি বিয়ে বিচ্ছেদও ডেকে আনতে পারে।

২) ইলেকট্রনিকস থেকে দূরে থাকুন
ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলো থেকে সব উত্তেজনা এবং রোমাঞ্চ কেড়ে নিচ্ছে। এরপর রয়েছে আবার টেলিভিশন। এসব নিয়ে আমরা এতোটাই বুঁদ হয়ে থাকি যার ফলে সঙ্গী বা সঙ্গীনির কথা হয়তো অনেক সময় মনেই থাকে না। কিন্তু সচেতনভাবে তার উপস্থিতি অনুভব করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৩) বালিশ কথপোকথন
দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার একটি প্রধান চাবিকাঠি হলো, ব্যক্তিগত চিন্তাগুলো সঙ্গী বা সঙ্গীনির সাথে আলোচনা করতে পারা। তবে দম্পতিদের মাঝে এই অভ্যাস এখন আর নেই বললেই চলে। কিন্তু দাম্পত্য সম্পর্ককে মজবুত করতে চাইলে রাতে ঘুমানোর আগে সঙ্গী বা সঙ্গীনির সাথে সারাদিন আপনি কী করলেন বা না করলেন তা নিয়ে আলোচনা করুন। এবং দিনের কোনো ঘটনায় বিপদে পড়ে থাকলে তাও বলুন। এতে অযাচিত মানসিক চাপ থেকে যেমন মুক্তি মিলবে তেমনি পরস্পরের সঙ্গে আপনারা আরো বেশি সংযুক্তি অনুভব করবেন। এছাড়া বিশেষ কোনো মানসিক পরিস্থিতির বাজে প্রভাব থেকেও রক্ষা পাবেন।

৪) পরস্পরকে স্পর্শ করুন
আজকাল দাম্পত্য সম্পর্ক থেকে পরস্পরকে স্পর্শ করার মাধ্যমে আবেগ সৃষ্টি করার প্রবণতা যেন মিইয়ে যাচ্ছে। যার ফলে দাম্পত্য সম্পর্কের মতো একটি গাঢ় আবেগী সম্পর্ক যেন এখন অনেকটা করুণা এবং সহানুভুতির সম্পর্কে পর্যবসিত হয়েছে। সুতরাং সৃজনশীলভাবে আপনার সঙ্গী বা সঙ্গীনিকে স্পর্শ করার উপায় উদ্ভাবন করুন। মনোবিজ্ঞানীদের বিশ্বাস স্পর্শের মাধ্যমে দাম্পত্য সম্পর্কে প্রয়োজনীয় গাঢ় আবেগ সৃষ্টি করা সম্ভব।

৫) শুভরাত্রি চুমু
রাতে ঘুমানোর আগে সঙ্গী বা সঙ্গীনিকে গুডনাইট চুমু দিতে ভুলবেন না। এতে শারীরিক ও আবেগগত ঘনিষ্ঠতা আরো গাঢ় হবে। প্রতিদিন এই চুমুর চর্চা করুন। তাহলে দেখবেন আপনার দাম্পত্য সম্পর্কে দ্রুত উন্নতি ঘটছে।



মন্তব্য চালু নেই