দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রশংসনীয় কর্মকা-

দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদচারণা ও প্রশংসনীয় ভূমিকায় এলাকাবাসী সন্তুষ্ট। তিনি তার মেধা-মনন ও কর্মযোগ্যতায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন দাউদকান্দি উপজেলায়।

অন্যান্য কর্মকা-র মত শিক্ষাক্ষেত্রেও তিনি এক ব্যতিক্রমধর্মী নজির সৃষ্টি করছেন দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

তিনি দাউদকান্দি উপজেলায় যোগদানের পর প্রশাসনিক কর্মকা- ছাড়াও মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে, জুয়াখেলা, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসসহ প্রায় সব দিক সমান তালে সামলে নিয়েছেন।

সম্প্রতি সবগুলো পাবলিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের পাশাপাশি এসময়ে চলমান জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষায় এক ব্যতিক্রমী প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলছেন।

দাউদকান্দির কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন কালে দেখা যায়, তিনি একটি কেন্দ্র থেকে আরেকটি কেন্দ্র নিরলসভাবে পরিদর্শন করছেন। উপজেলার সবচেয়ে দূরবর্তী পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে চোখের পলকে তিনি চলে যান পালের বাজার কাউয়াদি মাদরাসা উপকেন্দ্রে। এমনি করে প্রতিদিনই তিনি উপজেলার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে চলছেন।

মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান উপজেলায় নকলমুক্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠানে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলে দাউদকান্দির সৃষ্টিশীল মানুষজন খুব খুশি।

এছাড়াও অতি সম্প্রতি তিনি তার মেধা ও শ্রমের বদৌলতে দাউদকান্দিবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন। আমাদেরকে করেছেন ঋৃণী। বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ক্যাটাগরিতে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান। পুরস্কার পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান খুব খুশি।

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের উপজেলা সেরা হওয়ার কারণ হলো ইউডিসির (ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার) মাধ্যমে বেশি আয় করা। এর জন্য এলাকার জনগণ ধন্যবাদ পাওয়ার দাবি রাখে। এখানকার লোকজন শিক্ষিত হওয়ায় জনগণ ইউডিসি ব্যবহার করে। তাছাড়া আমাদের এখানে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সেবা দেওয়া হয়। এ অর্জনকে সামনে রেখে উপজেলার বাকি ইউনিয়নগুলোকেও এর আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে গণমুখী উপজেলা গড়ে তোলার চেষ্টা করব আমি।’

উল্লেখ্য যে, বিভাগের সেরা পুরুষ উদ্যোক্তার পুরস্কার পেয়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার প্রিয়মুখ গৌরিপুর ইউনিয়নের রুবেল মোল্লা। তিনি বলেন, ‘পুরস্কারের জন্য যখন আমার নাম ঘোষণা করা হয়, তখন আমি শুনে খবুই অবাক হয়েছি। বিভাগের মধ্যে আমিই সেরা উদ্যোক্তা, কী দারুণ ব্যাপার! পাশাপাশি যখন জানলাম আমার উপজেলাও সেরা নির্বাচিত হয়েছে তখন আরও বেশি উচ্ছ্বসিত হয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ইউডিসি আয়ের কারণে সেরা নির্বাচিত হয়েছে। আমাদের সেন্টারে প্রতিদিনই সেবা দেওয়া হয়। এ সেন্টার থেকে মাসিক গড়ে আয় হয় ৬০ হাজার টাকা। তাছাড়া এখানে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, অনলাইনে আবেদন, চাকরির আবেদন, জন্ম সনদ, বিকাশ, কম্পোজসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়।

আমার এ কাজে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবি-কলামিস্ট মো.আলী আশরাফ খান। আমি পুরস্কৃত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি খুশি আমার এলাকার জনগণ। আমি এভাবেই আমার কাজের মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই’।



মন্তব্য চালু নেই