দাউদকান্দির গৌরীপুরে খাল-ডোবা-জলাশয় দখল করায় সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা

কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুরে খাল-ডোবা ও জলাশয় দখল অতঃপর ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করার ফলে সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। শুধু তাই নয়, এখানে উপজেলার গৌরীপুর বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক হওয়ায় অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে এই ঐতিহ্যবাহী ডান্ডিখ্যাত গৌরীপুর বাজার। একটুআধটু বৃষ্টি হলেই বাজারের অলিগলি ও রাস্তায় হাঁটু পানি জমে জনজীবন বিষিয়ে ওঠে জনসাধারণের। পাশাপাশি ছোট বড় যানবাহনসহ পথচারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে গৌরীপুর বাজারে সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা।

সামান্য বৃষ্টি হলেই এখানকার মাছ, গোস্ত ও কাঁচা বাজারসহ আশেপাশের মুদি দোকানগুলো ১ফুট থেকে দেড় ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। দুর্ভোগ পোহাতে হয় মানুষজনের। এসব জলাবদ্ধতার কারণ, সরকারি জলাশয়, খাল-ডোবা ও পুকুর দখল করে প্রভাবশালীদের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ, সুদূরপ্রসারী ড্রেনেজ ব্যাবস্থা না থাকা, যা আছে তার যথাযথ পরিচর্যা না করা, মোড়ে মোড়ে আবর্জনার স্তুপ তৈরি হওয়া, বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিন যত্রতত্র ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় পড়ে থাকা এবং ড্রেনের উপর দোকানপাট বসানো।

উপজেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জলাবদ্ধ গৌরীপুর বাজারটি পরিদর্শন করেন এবং বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাজি ওমর আলীকে ২৪ঘন্টার মধ্যে অস্থায়ী ড্রেন কেটে পানি সরানোর ব্যবস্থা করতে নির্দেশ প্রদান করেন।

অপর দিকে গৌরীপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা খোরশেদ আলমকে সরকারি জলাশয় ও খাল-ডোবা দখল করে স্থাপনা নির্মাণকারীদের তালিকা করে নোটিশ প্রেরণের নির্দেশও দেওয়া হয়। মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা আরো নির্দেশ দেন যে, ঢাকা-হোমনা সড়কের গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজার পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে পাশে অবৈধ স্থ্াপনা নির্মাণকারীদের ২৪ঘন্টার মধ্যে ভেঙ্গে নেয়ার জন্য।

এব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ‘গৌরীপুর বাজার থেকে প্রতি বছর সরকারি ও বেসরকারিভাবে কোটি টাকা টোল আদায় করা হয়। এর সিকি পরিমাণও বাজার উন্নয়নে খরচ করে না সরকার। আমরা দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি’।

বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাজ্বী ওমর আলী বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে ড্রেনগুলো পরিস্কার করেও জলাবদ্ধতা দূর করতে পারছিনা। আসলে এটা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী সচেতন হলে ড্রেনের ভিতর আবর্জনা ও পলিথিন না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখলে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় না।’



মন্তব্য চালু নেই