দলের নাম যদি না মুছে ফেলতে চান, তাহলে পদত্যাগ করেন

দেশে এখন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নেই বলে মনে করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী। তাঁর মতে, সাধারণ মানুষের চেয়ে বড় আর কেউ নেই। ‘মানুষের অন্তরে থেকে দলের নাম যদি না মুছে ফেলতে চান, তাহলে পদত্যাগ করেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন,নির্বাচন দেন।তা না হলে এক সময় এমন হবে, আপনি যদি একসঙ্গে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর প্রধান হন, তারপরেও আর কখনো নির্বাচনে জিততে পারবেন না। বাংলাদেশের মানুষ কাউকে আর জুলুম করে ভোট নিতে দেবে না।

বুধবার মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রধান কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় কাদের সিদ্দিকী এ কথা বলেন।

দলীয় কার্যালয়ের সামনে কাদের সিদ্দিকীর ৫০ দিন অবস্থান উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘যতকাল বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে চন্দ্র-সূর্য থাকবে, ততদিন নাকি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার নাম থাকবে। এখন আমার তেমন মনে হয় না। কারণ এতদিনে তেমন মুক্তিযোদ্ধা আমার কাছে আসে নাই। অনেক ছোট্ট ছোট্ট দোকানদারেরা ছুটে এসেছেন। কিন্তু যারা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পায় পাঁচ হাজার টাকা, তাঁরা আমার কাছে আসে নাই। কেউ আসে নাই, সরকারি দল, ভাতা কাটা যাবে। কেউ আসে নাই, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা, তাঁদের নাম কাটা যাবে। সোনার বাংলাদেশ! বাংলাদেশে এখন আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নাই।’

কাদের সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের সঙ্গে জেতার পর মানুষের মনে যে ফূর্তি এসেছে। দুই দল আলোচনায় বসলে মানুষের তার চেয়ে বেশি ফূর্তি হবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন শুরু হয়েছে। খালেদা জিয়ার দল যেন নির্বাচনে আসে, সে ব্যবস্থা শেখ হাসিনাকেই করতে হবে। বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনের বিষয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন নিখোঁজ হয়েছে। তবে আশা করি, তাঁর শেষ পরিণতি হয়নি।’

আলোচনা সভায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আলোচনা সভায় জানানো হয়, আগামী শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে দলটির পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই