দলীয় লোক দিয়ে প্রশাসনকে দানব বানিয়েছে সরকার: ফখরুল

দেশ এখন দুর্বৃত্তদের কুশাসনে জর্জরিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দলীয় লোক দিয়ে সরকার বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলাসহ প্রশাসনকে দানবে পরিণত করেছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এস এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক এবং হবিগঞ্জ সদর পৌর মেয়র জি কে গউছকে অন্তর্ভুক্ত করে চার্জ গঠন এবং তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিটি দেয়া হয়। এতে তিনি বলেন, এ ঘটনা “বর্তমান অবৈধ ভোটারবিহীন সরকারের সর্বগ্রাসী হিংসাত্মক রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ।”

১০ বছর পর কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিটে ওই দুই নেতাকে জড়ানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী অবৈধ সরকারের ক্ষমতাকে দীর্ঘমেয়াদে কুক্ষিগত রাখার অপকৌশল ছাড়া কিছু নয়।” বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাদের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে সরকার অপকৌশলে লিপ্ত বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশের সার্বিক অবস্থা দেখলেই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রটি এখন দুর্বৃত্তদের কুশাসনে জর্জরিত। অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতরা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় লোকদের দিয়ে সাজিয়ে দানবে পরিণত করেছে।”

বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত করতে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে, এমন অভিযোগ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “আরিফুল হক এবং জি কে গউছের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ঘটনায় অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের অন্ধহিংসার ঘৃণ্য চরিত্রই আরেকবার উন্মোচিত হলো।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অবিলম্বে সিটি মেয়র আরিফুল হক এবং পৌর মেয়র জি কে গউছের বিরুদ্ধে করা মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।



মন্তব্য চালু নেই