দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের!

জাকারিয়া শেখ, গোপালগঞ্জ থেকেঃ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে কামার পল্লীতে বেড়েছে ব্যস্ততা। পবিত্র ঈদুল আযহা তথা কথিত কোরবানীর ঈদের আর মাত্র ৪ দিন বাকি। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদের কামার পল্লী ইতোমধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

মুখর হয়ে উঠেছে উপজেলার কামারশালাগুলো। দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের । ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে এখন ব্যস্ততা আরও বেড়ে গেছে। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তারাশি গ্রামের প্রবীণ কামার গৌরঙ্গ কর্মকার জানান, কোরবানীর ঈদে শত শত গরু, খাসি, ছাগল, মহিষ ইত্যাদি পশু কোরবানী করা হয়ে থাকে ।

এসব পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার জন্য চুড়ান্ত প্রস্তুতি পর্যন্ত দা-বটি, ছুড়ি-ছোড়া, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার প্রয়োজন হয়। একই ধরনের কথা বলেন মাঝবাড়ী গ্রামের সুবল দাস, হিরণ গ্রামের চিত্ত গাইন। তারাও পুরাদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

যেন নিশ্বাস ফেলার সময় নেই। ঈদের আর চারদিন বাকি থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঈদের আগ মূহুর্ত পর্যন্ত ঠিকমত নাওয়া-খাওয়ার সময় পাওয়া যাচ্ছে না। কাঁচা-পাকা লোহা দিয়ে তৈরি করা হয় ধাতব যন্ত্রপাতি। পাকা লোহার দা-ছুড়ি সবসময়ই বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দা আকৃতি ও লোহা ভেদে ৬০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছুড়ি ৪০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোড়া প্রতিটি সর্বোচ্চ ১২০ টাকা, চাপাতি ২২০ থেকে ৮০০ টাকা ও ধার করার স্টীল প্রতিটি ৫০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।

পুরানো যন্ত্রপাতি শানদিতে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। কামার পল্লীর এই ব্যস্ততা ঈদের আগ মূহুর্ত পর্যন্ত থাকরে বলে আশা কামারশালার লোকজনের ।



মন্তব্য চালু নেই