দক্ষিণ সুদানে গৃহযুদ্ধে শিশুদের ব্যবহার

দক্ষিণ সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধে সরকারি ও বিদ্রোহী উভয়বাহিনী শিশুদের ব্যবহার করছে। আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ সুদানের সরকার ও বিদ্রোহী বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে ১৩ বছরের শিশুদের ব্যবহার করছে। অনেক ক্ষেত্রে সরকার জোর করে জোর করে কিশোরদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিচ্ছে।
আফ্রিকা অঞ্চলের এইচআরডব্লিউ’র পরিচালক ড্যানিয়েল বেকেলে বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে শিশুদের ব্যবহার করা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার ও বিদ্রোহীরা। কিন্তু এরপরও উভয় পক্ষই এখনও যুদ্ধক্ষেত্রে শিশুদের ব্যবহার করছে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে এইচআরডব্লিউর এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। দেশটির তথ্যমন্ত্রী মাইকেল ম্যাকিউই বলেছেন, ‘যেখানে আমাদের যথেষ্ট লোকবল রয়েছে সেখানে আমরা কী করে শিশুদের নিয়োগ দিতে পারি?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কোন শিশু সেনা নেই।’
তবে এইচআরডব্লিউ বলছে, বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধে দক্ষিণ সুদানের তেল সমৃদ্ধ উত্তরাঞ্চলীয় মালাকাল শহর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই ওই ক্ষতি পুরণের জন্য যুদ্ধে শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট কির তার সহযোগী মাচারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগ আনেন। এরপরই সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মাচার বাহিনী। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত বছর ১২ হাজার শিশুকে নিয়োগ দিয়েছিল সরকারি ও বিদ্রোহী বাহিনী। পরবর্তীতে ইউনিসেফের চেষ্টায় তিন হাজার শিশুকে ছেড়ে দেয় একটি বিদ্রোহী গ্রুপ। সংস্থাটির মতে এখনও প্রচুর সংখ্যক শিশু সরকারি ও বিদ্রোহী বাহিনীতে রয়ে গেছে।



মন্তব্য চালু নেই