দক্ষিণ সিটির জিএমের দুর্নীতির খোঁজে দুদক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মহাব্যবস্থাপক খন্দকার মিল্লাতুল ইসলামের দুর্নীতি অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তার বিরুদ্ধে বিনা টেন্ডারে একই স্টেশন থেকে জ্বালানী তেল নেওয়া, এক ট্রিপের স্থলে তিন ট্রিপের বালু উত্তোলন ও যানবাহন না চললেও জ্বালানি তেলের বিল নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুদকের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য দুদকের উপ-পরিচালক আবদুস সোবহানকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে কমিশন।

দুদকে জমা দেওয়া চার পাতার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮০ সালে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে শিশু পার্কের `মালি` হিসেবে কাজ শুরু করেন খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম। পরবর্তীতে বিভিন্ন পদে চাকরি করে বর্তমানে ডিএসসিসির পরিবহণ শাখার সর্বোচ্চ পদ মহাব্যবস্থাপক (জিএম) চলতি দায়িত্বে রয়েছেন।

সূত্র আরো জানায়, ডিএসসিসির পরিবহণ বিভাগে জ্বালানি খরচের নামে হরিলুট চলে। করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বছরের পর বছর ধরে এ লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার ফলে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

বিনা টেন্ডারে বছরের পর বছর ধরে একই স্টেশন থেকে জ্বালানি নেওয়া, এক ট্রিপের স্থলে তিন ট্রিপের বিল তোলা, যানবাহন না চললেও জ্বালানির বিল দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, একই দূরত্বে বিভিন্ন পরিমাপের জ্বালানি ইস্যু করা, কেপিএল (কিলোমিটার পার লিটার) নির্ধারণ না করেই ইচ্ছামাফিক বরাদ্দ দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে।

খন্দকার মিল্লাতুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিবহণ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ফিলিং স্টেশন মালিক আর পরিবহণচালক ইউনিয়নের গুটিকয়েক নেতা মিলে তুলেছে একটি সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেট এতোটাই প্রভাবশালী যে নিয়ম ভঙ্গ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে নিয়োজিত যানবাহনগুলো তাদের দায়িত্বে রেখেছেন।

ডিএসসিসি প্রতি মাসে ৪১০টি যানবাহনে প্রায় তিন কোটি টাকা জ্বালানি খরচ দেখাচ্ছে। অথচ ২০০৭ সালে নগর ভবনে সেনাবাহিনী কর্তৃক টাস্কফোর্স বসার পরই খরচ অর্ধেকে নেমে এসেছিল বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই