থ্রিজির সক্ষমতার ৭০ শতাংশই ব্যবহার হচ্ছে না

বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ বা সাড়ে ৮ কোটি মানুষ মোবাইল ফোনের একক বা ইউনিক ব্যবহারকারী। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে একক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা গড়ে ৫০ শতাংশ। আর ভারতে একক ব্যবহারকারীর সংখ্যা জনসংখ্যার ৪৮ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলাদেশে একক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা দক্ষিণ এশিয়ার গড় থেকে বেশি।

গত বছর জিএসএমএ প্রকাশিত ‘এশিয়ায় মুঠোফোন ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, থ্রিজি প্রযুক্তির সক্ষমতার ৭০ শতাংশই বাংলাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে না। আর ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কায় চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি চালু হলেও বাংলাদেশে এটি এখনো চালু হয়নি।

মোবাইল ফোন অপারেটরদের আন্তর্জাতিক সংগঠন জিএসএমএর ‘ইকোনমিক ইমপ্যাক্ট: বাংলাদেশ মোবাইল ইকোনমি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

একজন ব্যক্তির একাধিক সিম কার্ড থাকলেও একক ব্যবহারকারী হিসাব করতে একটি সিম কার্ডকেই বিবেচনায় নেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে হিসাব করেই জিএসএমএ একক মুঠোফোন ব্যবহারকারীর এ সংখ্যা নির্ধারণ করেছে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে এমন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৭০ লাখ। সে হিসেবে এক বছরে দেশে একক মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দেড় কোটির বেশি বেড়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩৩ শতাংশ মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ভারতে মোট জনগোষ্ঠীর ৩৫ শতাংশ আর দক্ষিণ এশিয়ায় গড়ে ৩৪ শতাংশ মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। অর্থাৎ মুঠোফোনভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রতিবেশী দেশগুলোর সমপর্যায়েই আছে বাংলাদেশ।

জিএসএমএর হিসাবে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যবহারেও ভারতের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষ থ্রিজি প্রযুক্তির সেবা ব্যবহার করছেন। ভারতে এই হার ১৮ শতাংশ আর দক্ষিণ এশিয়ায় ২১ শতাংশ।



মন্তব্য চালু নেই