থানা হেফাজতে কলেজ ছাত্রীর শরীরে মরিচের গুড়ো ঢেলে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ

থানা হেফাজতে আটক রেখে এক কলেজ ছাত্রীর শরীরে মরিচের গুড়ো ঢেলে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল ও তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে।

এব্যাপারে কলেজ ছাত্রী শাপলা খাতুন সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুবিনা পারভিনের আদালতে গত ২৭ জানুয়ারি দুপুরে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে আরো উল্লেখ করা হয়ছে গত ২২ জানুয়ারি আটকের পর থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কাজিপুর উপজলার টেংলাহাটা ডিগ্রী কলেজের বিএ ২য় বর্ষের ছাত্রী শাপলা খাতুনকে থানা হেফাজতের মধ্যে চোখে কাপড় বেঁধে পর্যায়ক্রমে নির্যাতন করা হতো। নির্যাতনের এক পর্যায়ে কলেজ ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এঅবস্থায় ২৭ জানুয়ারি কলেজ ছাত্রী শাপলা খাতুনকে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। এই রিমান্ডের শুনানী চলাকালে নির্যাতনের বর্ণনা দেন কলেজ ছাত্রী শাপলা খাতুন।

উল্লেখ্য এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, কাজিপুর উপজেলার আলমপুরপূর্ব পাড়ার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবু ইয়াহইয়া আনসারির মেয়ে আছিয়া খাতুন মুক্তি গত ১৭ আগস্ট নিজবাড়িতে খুন হয়। এই ঘটনায় পরদিন ১৮ আগস্ট নিহতের পিতা বাদী হয়ে মেয়ে জামাই আলমগীর হোসেনসহ সাতজনকে আসামী করে কাজীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এই মামলার এজাহারে শাপলা খাতুনের নাম উল্লেখ না থাকলেও পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে তাকে আটক করে। সে কাজিপুর উপজলার টেংলাহাটা ডিগ্রী কলেজের বিএ ২য় বর্ষের ছাত্রী ও কাজিপুর উপজেলার মাথাইল চাপড় পূর্ব পাড়া গ্রামের সোহরাব হাজীর মেয়ে।

কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল শাপলা খাতুনের উপর নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান হত্যার সাথে জড়িত থাকায় পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তাকে সাথে নিয়ে অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই