ত্বকের মারাত্মক ৬ টি ছোঁয়াচে রোগ

চুলকানি, যন্ত্রণা বা অস্বাভাবিক ফুলে গেছে আপনার ত্বকের উপরিভাগ? তাহলে আপনি সম্ভবত ত্বকের রোগে ভুগছেন। সতর্কতার সাথে উপসর্গগুলো খেয়াল করুন এটি সংক্রামক কিনা। বাতাস ও ত্বকের সাথে ত্বকের সংস্পর্শে সংক্রামক রোগ ছড়ায়। ত্বকের সংক্রামক কিছু রোগের কথাই জেনে নেব আজ।

১। হাম

হাম একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। হাম হলে জ্বরের পাশাপাশি কাশি থাকে, মুখের ভেতরে সাদা দাগ দেখা যায় এবং সারা শরীরে ব্যথাযুক্ত লাল র‍্যাশ হয়। এটি অত্যন্ত সংক্রামক একটি ব্যাধি যা কাশি ও হাঁচির সাথে ছড়িয়ে পরে। সাধারণত একবার হলে রোগীর শরীরে ইমিউনিটি তৈরি হয় যা পরবর্তী সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। হামের টিকা নিলে সম্পূর্ণভাবে এড়ানো যায় একে।

২। হারপিস

হারপিস দুই ধরণের হয় যথা- হারপিস সিমপ্লেক্স ও হারপিস জোস্টার। এটি ঠোঁট বা যৌনাঙ্গে বেদনাদায়ক ঘা সৃষ্টি করে। জলবসন্ত ও কোঁচদাদের জন্য দায়ী এই ভাইরাস। স্পর্শের মাধ্যমে এই রোগ বিস্তার লাভ করে। এর দ্বারা চোখও আক্রান্ত হতে পারে। চিকেনপক্সের টিকা নিলে এর আক্রমণ প্রতিহত করা যায়।

৩। দাদ বা রিংওয়ার্ম

দাদ টিনিয়া কর্পোরিস নামেও পরিচিত। ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে রিংওয়ার্ম। পায়ের ফাঙ্গাস ছড়িয়ে পরলে এর বিস্তার ঘটে। এই রোগে ত্বকের উপরিভাগে আঁশযুক্ত ও চুলকানিযুক্ত লাল র‍্যাশ দেখা যায় যা দেখতে অনেকটা রিং এর মত দেখায়। দাদ একজিমা ও সোরিয়াসিসের মতোই মনে হয়। সরাসরি সংস্পর্শ ও দূষিত জিনিসের দ্বারা বা পোষা প্রাণীর দ্বারা ছড়িয়ে যায় দাদ। সাধারণত ছত্রাক নাশক ঔষধ সেবন ও মলম লাগানোর মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা হয়।

৪। স্ক্যাবিজ

স্ক্যাবিজ বা খোসপাঁচড়া খুবই ছোঁয়াচে রোগ। স্ক্যাবিজ হলে আঙ্গুলের ফাঁকে, কোমরের চারপাশে ও নাভিতে লাল ফুসকুড়ি দেখা যায়। Sarcoptes scebai নামক ক্ষুদ্র মাইটের আক্রমণে হয়ে থাকে এই রোগ। সরাসরি সংস্পর্শে ছড়ায় এই রোগ। এই নিরাময়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে লোশন ও শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির বিছানা পত্র গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে ও রোদে শুঁকাতে হবে।

৫। ইম্পেটিগো

ব্যাকটেরিয়া ঘটিত ছোঁয়াচে রোগ ইম্পেটিগো যা বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের বেশি হয়ে থাকে। কারণ শিশুদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল থাকে। এই ধরণের ইনফেকশন মাঝারি ধরণের হয় এবং এন্টিবায়োটিক সেবনে নিরাময় লাভ করা যায়।

৬। এথলেটস ফুট

টিনিয়া প্যাডিস নামেও পরিচিত এথলেটস ফুট। এটি ত্বকের অত্যন্ত সংক্রামক একটি ব্যাধি। ছত্রাকজনিত এই রোগটি সরাসরি স্পর্শের মাধ্যমে ও দূষিত জিনিসের মাধ্যমে ছড়ায়। ত্বকে চুলকানি, জ্বালাপোড়ার পাশাপাশি ত্বক ফেটে যায় এবং চামড়া উঠে আসে। এর ফলে পায়ের নখ মোটা ও বিবর্ণ হয়ে যায়। এই রোগের ক্ষেত্রে খালি পায়ে হাঁটা উচিৎ নয় এবং পানি লাগানো যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হয়। ছত্রাকনাশক ঔষধ খাওয়া ও লাগানোর মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা হয়।প্রিয়.কম



মন্তব্য চালু নেই