তেলের দাম নিয়ে তবুও অসন্তোষ

‘বিশ্ববাজারে তেলের দাম অর্ধেক কমেছে। অথচ সরকার লিটার প্রতি মাত্র ১০ টাকা কমালো। বিশ্ববাজারে তেলের দাম যখন সর্বনিম্ন তখনও সরকার জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে। এই তো সেদিনও এক দফা দাম বাড়ালো। দফায় দফায় দাম সর্বোচ্চ বাড়িয়ে এভাবে কমানো জনগণকে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছুই নয়।’

বলছিলেন, শান্তা মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বচ্চ। সকালে হোটেল রূপসী বাংলার বিপরীতে সরকারি তেলের পাম্প মেঘনা মডেল সার্ভিস সেন্টারে কথা হয় পেট্রোল নিতে আসা ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে। জ্বালানির দাম কমায় সবাই যখন ফুরফুরে মেজাজে তখন তিনি তেল নিয়ে রাজনীতির কথা বললেন।

তরুণ এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘এ দেশে জ্বালানি নিয়ে যে রাজনীতি হয়, তা অন্য কোনো দেশেই হয় না। তেলের দাম বাড়াতেও রাজনীতি হয়, তেলের দাম কমিয়েও রাজনীতি হয়। দাম কমানো হয়েছে, ভালো কথা। কিন্তু অনেক আগেই জনগণ দাম কমানোর দাবি তুলেছিল। তা আমলে নেয়া হয়নি। জনগণের পকেট কেটে জ্বালানির দাম বাড়িয়ে অর্থনীতির চাকা ভালো রাখা যায় না।’

তবে পাশের আরেক বাইক চালক শামীম জামান পেট্রোলের দাম কমাতে স্বস্তিই প্রকাশ করলেন। শামীম গুলশানে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো জিনিসের দাম বাড়ানোর পর আবারো কমানো হবে এটি অকল্পনীয়। অবশেষে সরকার জনগণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে, এটিই মঙ্গল। লিটারে ১০ টাকা কমেছে, এটি কম কি? একবারে দাম এভাবে কমায় বেশ ভালো লাগছে।’ তবে তিনি ডিজিলের দাম আরো কমানোর দাবি জানান।

দীর্ঘদিন থেকে তেলের দাম কমানোর দাবি উঠলেও অবশেষে রোববার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ দর কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। রোববার রাত ১২টার পর থেকে নতুন দর কার্যকর হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অকটেন ও পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার যথাক্রমে ৮৯ টাকা ও ৮৬ টাকায়; যার পূর্বমূল্য ছিল ৯৯ টাকা ও ৯৬ টাকা। অকটেন এবং পেট্রোল প্রতি লিটারে ১০ টাকা কমানো হয়েছে। ডিজেল-কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৩ টাকা করে কমিয়েছে সরকার।

মেঘনা পেট্রোল পাম্পের হিসাবরক্ষক মাহবুব বলেন, রাত ১২ টার পর থেকেই নতুন দরে জ্বালানি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আমরা পাম্প সকাল থেকে চালু করেছি। এরপর থেকে নতুন দামেই বিক্রি হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই