তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন আজ

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের ভোট আজ। দেশের ৪৭ জেলার ৬২০টি ইউপিতে সকাল আটটায় শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা এ ভোটগ্রহণ চলবে।

৬২০ ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৬২১ জন, বিএনপির ৫৭৫ জন, জাতীয় পার্টির ১৮৪ জন, জাতীয়সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের ২৮ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ১৪ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৯৩ জনসহ ২ হাজার৯৯২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আওয়ামী লীগের ১৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আর ৫২ ইউপিতে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই।

এদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেছে। ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মাঠে নেমেছে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ সব ধরনের নির্বাচনী সামগ্রী বিশেষ নিরাপত্তায় শুক্রবারই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়ার কথা।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতি ইউনিয়নে একটি করে মোবাইল ফোর্স ও প্রতি তিন ইউপির জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। প্রতি উপজেলায় ২টি করে র‌্যাবের মোবাইল টিম ও ১টি স্ট্রাইকিং টিম এবং প্রতি উপজেলায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোবাইল ও ১ প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।

ভোটের মাঠের সার্বিক নিরাপত্তায় ভোটের দিনের পূর্ববর্তী রাত ১২টা থেকে ভোট গ্রহণের দিন মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা, ইজিবাইক, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো প্রভৃতি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

তৃতীয় ধাপের ভোটে মোট ২ হাজার ৯৯২ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ১৪টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ১ হাজার ৫৪৩ জন। অবশিষ্ট ১ হাজার ৪৪৯ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৬২১ জন, বিএনপি ৫৭৫ জন, জাতীয় পার্টি ১৮৪ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ২৮ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ১৪ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৯৩ জন, জাতীয় পার্টি-জেপি ২ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ১ জন, খেলাফত মজলিস ৪ জন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ১ জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ৩ জন, ইসলামী ঐক্যজোট ৩ জন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ১৩ জন ও অন্যান্য ১ জন প্রার্থী দিয়েছে।

গত দুটি ধাপে ব্যাপক সহিংসতায় প্রাণ হারায় শিশুসহ প্রায় ৩৫ জন। আহত হয় কয়েক হাজার। এছাড়া ব্যাপক অনিয়ম ও ভোট কারচুপি ঘটে। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের প্রচারণার সময়ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং সহিংসতায় বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। চতুর্থ ধাপে ৭ মে, পঞ্চমম ধাপে ২৮ মে ও ষষ্ঠ ধাপে ৪ জুন ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই