তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাবিতে মারধর

শাহাদত হোসাইন স্বাধীন, জাবি প্রতিনিধি: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরন বিশ্ববিদ্যালয় সরকার রাজনীতি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরূদ্ধে একই ব্যাচের দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে । সোমবার দুপুর ১২ সমাজ বিজ্ঞান ভবনের সরকার ও রাজনীতি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। বিভাগের আসন্ন সার্ক ট্যুরকে কেন্দ্র করে ৪২ তম আবর্তনের কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে একই ব্যাচের মাঈনুল এবং মোজাহিদকে ধরে মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে ।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানায়, বিভাগীয় সার্ক ট্যুরকে কেন্দ্র করে একই ব্যাচের শিক্ষার্থী মাইনুল ও মোজাহিদকে বেধরক মারধর করা হয়। মারধরকারীরা হলেন মিয়া রাকিবুল ইসলাম, জানে আলম, রাকিব, সাইফুল, ইমরান ফয়সাল, তমাল, জান্নাতুল আশিক সূর্য, আবির সহ বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে রাকিবের বিরুদ্ধে বিভাগের কর্মচারীকে মারধর সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া ইমরান ফয়সাল, তমাল, জান্নাতুল আশিক সূর্যের বিরুদ্ধে ছাত্রদল করার অভিযোগ রয়েছে। রাকিব শাখা ছাত্রলীগ থেকে আজীবন বহিষ্কৃত আসিফ আহমেদ এর ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগের রাজনীতি করে। এদিকে আসিফের বিরুদ্ধে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, ফেনসিডিল, ইয়াবা ব্যাবসা, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার, চাঁদাবাজি সহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

তারা আরও জানায় যে, বিভাগের ট্যুর সদস্যের মধ্যে ২৯ জন শিক্ষার্থীই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের হওয়ায় তারা সার্ক ট্যুরের কমিটিতে বেশিরভাগ পদ চায় । তা না হলে ভোটাভুটিতে যাওয়ার কথাও বলে ঐ হলের শিক্ষার্থীরা।

অন্যান্য হলগুলোতে কম শিক্ষার্থী হওয়ায় তারাও ভোটাভুটিতে যেতে চায় না। এই নিয়ে দ্বন্দের শুরু হয়। ২২ আগস্ট বিভাগের সভাপতি বশির আহমেদ শিক্ষার্থীদের ভোটাভুটি না করে সংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে আহ্বায়ক ও কোষধ্যক্ষ পদ নিতে বললে অন্যান্য হলগুলো মেনে নিলেও বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থীরা তা মানতে নারাজ।

মারধরের শিকার মাঈনুল বলেন, “বন্ধু হয়েও ক্ষমতার জোরে রাকিব, তমাল, ফয়সাল, সাইফুল, রাকিবুল ইসলাম, জানে আলম ও সূর্য প্রথমে মোজাহিদুল এরপর আমাকে সকলের সামনে মারধর করেছে।মূলত সার্ক ট্যুরের কমিটিতে সবগুলো পদে দখল নিতেই ওরা আমাদেরকে মারধর করেছে। আমরা বিভাগীয় সভাপতির কাছে মারধরের অভিযোগ করেছি। অন্যাভাবে মারধরের সুষ্ঠ বিচার না হলে আমরা সবাইকে নিয়ে ধর্মঘট করতে বাধ্য হব।”

পরে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়সাল বলেন,“ বন্ধুদের মধ্যে হাতাহাতি হচ্ছিল আমি বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেছি, মারধর করিনি। এবং রাকিবের সেলফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।”

এ ঘটনার সুষ্ঠ সমাধানের জন্য ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা নাসরিন সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক বশির আহমেদ।
এ বিষয়ে নাসরিন সুলতানা বলেন, ‘ এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আর আমরা কালকে বিভাগে বসে দেখি



মন্তব্য চালু নেই