তীব্র গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

জ্যৈষ্ঠের দাবদাহে পুড়ছে প্রকৃতি, ভ্যাপসা গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে জনজীবন। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় অনুভূত তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। সেই সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগের মাত্রা পৌঁছেছে চরমে।

তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে রাজধানীসহ বেশ কিছু এলাকার মানুষ। কিন্তু বৃষ্টির থেমে যাওয়ার পর একই অবস্থা হয়েছে। রাতজুড়ে ছিল তীব্র গরম।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেছেন, জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই অসহনীয় গরম নিয়েই থাকতে হবে দেশবাসীকে। জ্যৈষ্ঠের প্রথম থেকেই প্রখরতা বেড়েছে সূর্যের। মাথার ওপর গনগনে সূর্য, ঘরের বাইরে বেরুলেই শরীর যেন পুড়ে যায়। তবে বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকার কারণে অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। গরমের এই তীব্রতাকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলছে ইট-পাথর আর ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। লোডশেডিং-এর কারণে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে।

গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৮ এবং দেশের সর্বোচ্চ ছিল রাজশাহীতে ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৫৭ শতাংশ।

তবে এরমধ্যেও সুখবর আছে। কারণ আবহাওয়া অফিস বৃষ্টির খবরও দিয়েছে। বলছে, শুক্রবার সকাল থেকে গরম পড়লেও আজ রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে বজ্র বৃষ্টি হতে পারে। আর খানিকটা ঝড়-বৃষ্টি, এর সঙ্গে মৌসুমি বায়ু যোগ হলে গরমের দাপট কমে যাবে।



মন্তব্য চালু নেই