তিস্তার পানি ফের বিপদসীমার উপরে

লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজের ভাটিতে বাইশপুকুর এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ করে নদীর ডান চ্যানেলটি বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় জনগণ। এতে ওই চ্যানেল দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফের ফুলে-ফেঁপে উঠেছে তিস্তা। ফলে তিস্তার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে ডুবে গেছে ৩৫টি চর।

বৃহস্পতিবার ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস জানিয়েছে, দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ভাটিতে নদীর পানি প্রবাহের জন্য দুটি চ্যানেল রয়েছে। বাইশপুকুর এলাকায় দিয়ে বয়ে গেছে ডান ও পারুলিয়া এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে বাম চ্যানেল।

বর্ষার ভাঙন ঠেকাতে খরা মৌসুমে তিস্তার ডান চ্যানেলের ওপর বাইশপুকুর এলাকাবাসী নির্মাণ করেছে প্রায় ১ কিলোমিটর দীর্ঘ বাঁধ। এ বাঁধের কারণে ডান চ্যানেলটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। ব্যারাজের ৪৪টি গেট দিয়ে বেরিয়ে আসা তিস্তার পানি ঘুরে গিয়ে বাম চ্যানেল অর্থাৎ পারুলিয়া দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ব্যারাজের ভাটিতে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় ফুলে-ফেঁপে উঠছে তিস্তা। এতে সামান্য বৃষ্টিপাত কিংবা উজানের ঢলে ব্যারাজ এলাকাসহ উজানে তিস্তার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ব্যারাজের উজানের পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি, ডাউয়াবাড়ি, গড্ডিমারী, কাকিনা, মহিষখোঁচা, চররাজপুর ও খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ৩৫টি চর এলাকার কমপক্ষে ৩০ হাজার পরিবারের বাড়িতে পানি জমে থাকছে। এতে ওইসব পরিবারের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

পূর্ব ছাতনাই গ্রামে ডানতীর বাঁধ ঘেঁষে তিস্তা প্রবাহিত হওয়ায় বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে সেখানে ফেলছে স্টোন বোল্ডার ও সিসি ব্লক। এরপরও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান জানান, ব্যারাজের ভাটিতে বাইশপুকুর এলাকায় নির্মিত বাঁধের কারণে ডান চ্যানেল দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পানি ব্যারাজের ৪৪টি গেট দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ব্যারাজের উজানে ফুলে-ফেঁপে উঠছে তিস্তা। উজানের বিভিন্ন ইউনিয়নের চরাঞ্চলের পরিবারগুলোর বাড়িতে উঠেছে পানি।



মন্তব্য চালু নেই