তিল ও তিলের তেলের উপকারিতা

বাংলাদেশে তিল দ্বিতীয় প্রধান তেলবীজ ফসল হিসেবে পরিচিত। খাদ্য হিসেবে তিল ও তিলের তেল খুবই জনপ্রিয়। এটি পুষ্টির সমস্যা নিরসনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সুস্থ থাকার জন্য তিল ও তিলের প্রয়োজনীয়তা জেনে রাখা উচিত।

উপকারিতা:

* প্রতিদিন ভোরে এক চামচ কালো তিল অল্প অল্প করে মুখে দিয়ে মিহি করে চিবিয়ে যখন রসের মতো হয়ে যাবে তখন গিলে খেতে হবে। এই তিল খাওয়ার তিন ঘণ্টা পর্যন্ত কিছু খাওয়া যাবে না। এভাবে তিল খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তেলের মালিশও করা যায়, তাহলে রোগা থেকে স্বাস্থ্যবান হবেন। আর যারা মোটা তাদের মেদ কমে যাবে।

* যাদের শরীরের বৃদ্ধি কমে যায়, তাদের শারীরিক বৃদ্ধির জন্য তিল খুবই উপকারী।

* যদি কারও মাড়ি থেকে দাঁত দুর্বল হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে তিলের মাধ্যমে দুর্বল দাঁত মজবুত করা যায়।

* সর্দি, কাশি, বুকে কফ জমে যায়-এ জাতীয় অসুখে কালো তিলের তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সর্দি, কাশির জন্য দ্রুত কাজ করে এবং ফলাফলও খুব ভালো হয়।

* অনেকেরই অকালে চুল পেকে যায় এবং দুর্বল হয়ে চুল পড়ে যায়। তাদের এই সমস্যা নিরসনে কালো তিলের প্রয়োজন। এই তিলের তেল প্রয়োগ করলে খুব উপকার পাওয়া যায়। এমনকি চুল গজাতেও সাহায্য করে।

* শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং সব ইন্দ্রিয়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

* তিলের তেল শরীরের রং উজ্জ্বল করে দেয় এবং শরীরের ছোট ছোট দোষত্রুটি দূর করে দেয়।

* এটি মাথার যন্ত্রণা কমিয়ে দেয় এবং বুদ্ধিবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

* তিলের তেল শরীরে মাখলে শরীর হালকা হয় এবং শরীরে থাকা নানা রকম ক্ষত, আঘাত, পুড়ে যাওয়া, ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি সবকিছুতে উপকার করে।



মন্তব্য চালু নেই