তিরিশের কোঠায় অর্থব্যবস্থাপনায় ১৫টি ভুল

বিশের কোঠায় মানুষ উপার্জনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। বিশেষ করে তিরিশের কোঠা থেকে উপার্জনের তুঙ্গে থাকে। তাই এ সময় ভুল চিন্তা দ্বারা পরিচালিত হওয়া মানে ভবিষ্যতের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে ফেলা। সফল হতে কি করতে হয় তা সবাই বোঝেন। কিন্তু ব্যক্তিগত অর্থব্যবস্থায় নিজের প্রতি সৎ থাকা বাঞ্ছনীয়। এখানে জেনে নিন এমন কিছু ভুল ধারণার কথা যা তিরিশের কোঠায় সত্য বলে বিশ্বাস করা উচিত নয়।

১. বর্তমান চাকরি ভালো বেতন দেয়, তাই একে ছাড়া যাবে না। এমন চিন্তা অনেকের মনে আসন গেড়ে বসে। কিন্তু যে চাকরিতে আপনার তৃপ্তি আসে না এবং ভালো লাগে না তাকে ধরে রাখার কোনো মানে হয় না। যোগ্যতা থাকলে ঠিকই ভালো সুযোগ পাবেন।

২. এড়িয়ে গেলে অতীতের ঋণ তেমন ক্ষতিকারক হবে না বলে ভুল করেন অনেকে। চাকরির প্রথমেই জীবনের নানা ঋণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অনেকেই একে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং বাকি জীবন এর ভার বহন করেন।

৩. বিয়ে করা উচিত, কারণ এটাই পরের কাজ বলে অনেকের বিশ্বাস হয়ে রয়েছে। কিন্তু বিয়ে করে সংসার চালানোর সামর্থ্য না থাকলে সত্যিকার অর্থেই আপনি বিপদে পড়ে যাবেন।

৪. প্রতিমাসের বিল না দিলে সংগ্রাহকরা তা ভুল যান না। এটা মনে রাখতে হবে। তাই এসব বিলের জন্যে নির্দিষ্ট বাজেট রাখবেন।

৫. বেতন বেড়েছে, তাই স্থায়ী ঠিকানার ব্যবস্থা করতে চান অনেকে। কিন্তু আর্থিকভাবে পুরোপুরি সক্ষম না হওয়া পর্যন্ত এত বড় পদক্ষেপে যাবেন না।

৬. আপাতত সঞ্চয় বাদ দিলে পরে তা পূরণ করে নেওয়া যাবে মনে করাটা ভুল কাজ। প্রথম থেকেই অল্প অল্প সঞ্চয় করতে থাকুন।

৭. চাকরির পাশাপাশি যেকোনো কাজে বিনিয়োগ থাকা উচিত। কিন্তু এ কাজের সময় হয়নি মনে করে ভুল করবেন না।

৮. একই বয়সী অন্যরা বেশি বেতন পান বলে নিজেকে ব্যর্থ বলে মনে করাটা ভুল। হয়তো আপনি বহু পরে চাকরিতে এসেছেন। এটা আপনার যোগ্যতার অভাব বলে বিবেচিত হয় না।

৯. স্বাস্থ্য ভালো থাকলে অনেকেই ভেবে নেন, ছোটকালের মতো যা ইচ্ছা তাই খেতে পারবো। কিন্তু না, বয়সের সঙ্গে খাবারের বাছ-বিচার করা অতি জরুরি।

১০. এখনো এলোমেলো পোশাক পরতে পারবেন বলে ভেবে নেওয়াটা ঠিক নয়। কারণ বয়সের সঙ্গে পোশাক রুচিশীল হওয়াটা ব্যক্তিত্বের লক্ষণ।

১১. নতুন ঋণ পেলে তা অবশ্যই পরিশোধ করতে পারবেন বলে মনে করছেন? হয়তো ভুল করছেন। আপাত হিসেবে তা বোঝা যায়। আসলে এতো সহজ নয়।

১২. সন্তান চাই, তাই এখোনি নিতে হবে- পরিবারে নতুন অতিথির সুন্দর জীবনের ক্ষেত্রে আপনার ইচ্ছাটাই যথেষ্ট নয়। এর সঙ্গে আপনার সামর্থ্যের সমন্বয় করতে হবে।

১৩. আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো। কিন্তু নিজেকে অপ্রতিরোধ্য বলে ভাবা ঠিক নয়। বিশেষ করে স্বাস্থ্যে বিষয়ে তো নয়ই। তাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন খুবই জরুরি বিষয়।

১৪. কম দামের পণ্য কিনে অনেক অর্থ বাঁচানো যায় না। এটা সঞ্চয়ের আদর্শ পন্থা নয়। বরং কম দামের খারাপ পণ্য দিয়ে ঘর ভরবে শুধু।

১৫. সবকিছু নিজের মতোই চলবে, তাই যা মন চায় তাই করতে হবে ভেবে নিয়ে বড় ভুল করবেন না। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। আর সবকিছু এমনিতেই ঠিক হয়ে যায় না। কাজেই অর্থ খরচের ক্ষেত্রে সংযমী হোন।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার



মন্তব্য চালু নেই