‘তিন সিটিতেই আমাদের মেয়রপ্রার্থী জয়ী হবে’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, সময় এসেছে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডকে না বলার। আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ মানুষ বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে না বলবে।

তিনি আরও বলেন, মাঠপর্যায়ের জরিপে তথ্য পাওয়া গেছে তিন সিটিতেই আমাদের মেয়রপ্রার্থী জয়লাভ করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

আশরাফ বলেন, চট্টগ্রাম, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের তিনমাসের তাণ্ডবের জবাব দেবে জনগণ। তিন সিটিতেই আমাদের দল সমর্থিত প্রার্থীরা, বিশেষ করে মেয়রপ্রার্থীরা জয়লাভ করবেন মাঠ পর্যায়ে জরিপে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। পরিবেশ আমাদের অনুকূলে রয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়। আমাদেরও তাই হবে। আগামী সংসদ অধিবেশনে এ জন্য বিল আনা হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিটি নির্বাচন দলীয়ভাবেই অনুষ্ঠিত হবে বলে।

এ সময় দলীয় সংসদ সদস্যদের তা পাশ করাতে ভোট প্রদানের আহ্বান জানান দলের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ছিল এবারই আইন পরিবর্তন করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করার। আগামীতে এ নির্বাচন দলীয়ভাবে করা যেতে পারে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করা হলে দলের শৃঙ্খলা বাড়বে, গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে।

আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করা হবে আশা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিদর্লীয়ভাবে করার প্র্যাকটিস বিশ্বের কোনো দেশে নাই। বিশ্বের সব দেশেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করা হয়।

এ সময় তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় এ সব হত্যা, সহিংসতা ও তাণ্ডবের বিষয়টি জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কোন নির্বাচনকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটে। আইনের ভিতরে থেকে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের জন্য যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করতে হবে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের জয়ী করতে সব ধরণের সহযোগিতা করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্লাহ, সতিশ চন্দ্র রায়, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই