তিন সাংবাদিক নিয়ে ভারত-চীন উত্তেজনা তুঙ্গে

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর সীমান্তে চীন-পাক যৌথ সামরিক মহড়া, পরমাণু সরবরাহকারী জোটে (এনএসজি) ভারতের সদস্যপদের বিরোধিতা করা, দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের জাহাজ চলাচলে চীনের আপত্তি করা নিয়ে দিল্লি-বেইজিং উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। এর মধ্যে তিন চীনা সাংবাদিককে ভারত ছেড়ে চলে যেতে বলেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এ নিয়ে রীতিমতো পাল্টা ‍হুমকি দিয়ে বসেছে চীন সরকার।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার ওই তিন সাংবাদিককে চলতি মাসের মধ্যেই দেশে ফিরে যেতে বলেছে ভারত সরকার।

এই তিন সাংবাদিক হলেন- উ কিয়াং, তাং লি এবং শি ইয়ংগাং। প্রথম দু’জন দিল্লি ও মুম্বাইয়ের ব্যুরো চিফ এবং তৃতীয় জন মুম্বাই অফিসে কাজ করেন।

আবেদন করার পর ভারত সরকার তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়ায়নি। এমনকি, বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে জানানো হলেও কোনও সাড়া মেলেনি। বিদেশ মন্ত্রণালয় তাদের জানিয়েছে, শিগগিরই ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে। তাদের পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিয়ে শহরের বাইরে না যেতে বলা হয়। কিন্তু গত ১৪ জুলাই ভিসার মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়ে তাদের দেশে ফিরে যেতে বলেছে মন্ত্রণালয়।

কিন্তু ব্যাপারটি ভালোভাবে নেয়নি বেইজিং। সেটা জানা গেল সোমবার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা গ্লোবাল টাইমস-এর সম্পাদকীয়তে। এর ফল যে মারাত্মক হবে বলেও সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, সরকারিভাবে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি বেজিং।

ওই সম্পাদকীয়তে বিষয়টিকে ‘অপমানজনক’ বর্ণনা করে লেখা হয়েছে, চীনের বাগড়া দেয়ার কারণে এনএসজিতে ভারত সদস্যপদ পায়নি। সেটার প্রতিশোধ নিতেই ভারত তাদের তিন সাংবাদিকের ভিসার মেয়াদ না বাড়িয়ে দেশে ফেরত যেতে বলেছে।

পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, এনএসজিতে সঙ্গত কারণেই চীন বাধ সেধেছিল। এর পরেই সেখানে লেখা হয়েছে, ভারত যদি সে ঘটনার প্রতিশোধ এভাবে নেবে বলে ঠিক করে থাকে তবে তার ফল মারাত্মক হবে।

এদিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এনএসজির সদস্যপদের জন্য চীনের অনুমোদন ভারতের কাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এমন সময়ে সাংবাদিকদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত যে অকারণ উত্তেজনা বাড়াবে তা জানাই ছিল। এখন চীন সেই পথেই হাঁটার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলো।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা



মন্তব্য চালু নেই