তিন শিং, তিন চোখ!

রাজশাহীর পবা উপজেলার চর মাজারদিয়াড় এলাকা থেকে বুধবার সকালে ষাঁড়টি নগরীর বুলনপুর এলাকায় আসে। নৌকা থেকে নামতেই ষাঁড়টিকে ঘিরে উৎসুক মানুষের ভিড়। ষাঁড়টিকে দেখে অনেকেই অবাক। মাথায় তিন শিং। শুধু কি তাই ষাঁড়টির তিনটি চোখও রয়েছে।

বিশ্বাস না হলেও ব্যাপারটা সত্যি! ষাঁড়টির মালিক আসার আলী। মানুষের ভিড়ে রীতিমতো ক্ষেপেছে ষাঁড়টি। ষাঁড়টিকে থামাতে আসার আলীকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছিল।

ভিড় ঠেলে আসার আলী ষাঁড়টিকে বাঁধলো একটি খুঁটির সঙ্গে। গামছা দিয়ে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে আসার আলী জানালেন, তার ইচ্ছে ষাঁড়টিকে রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যোনে দেয়ার। সেজন্য চর মাজারদিয়াড় থেকে ষাঁড়টিকে নগরীতে নিয়ে এসেছেন তিনি।

আসার আলী আরো জানান, ষাঁড়টির বয়স ৪ বছর। ষাঁড়টির বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবেই দুইটি শিং দেখা যায়। এরপরে ধীরে ধীরে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। দুই শিং এর মাঝখানে ষাঁড়টির আরো একটি শিং উঠে ।

কপালেও আরো একটি চোখ ফুটে ওঠে। তবে চোখটি বেশ ছোট। ষাঁড়টির কপালের সাদা লোমের মধ্যে কালো বৃত্তের মধ্যে চোখটি অবস্থিত।

ষাঁড়টির দাম নিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কথা চলছে। দামদর ঠিক হলে ষাঁড়টি স্থান পাবে রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যোনে।



মন্তব্য চালু নেই