তার জন্য বিএনপির দরজা খোলা…

রাজনীতি থেকে আকস্মিকভাবে পদত্যাগে মর্মাহত হলেও শমসের মবিন চৌধুরীর বিএনপিতে ফেরার সুযোগ থাকবে বলে জানালেন দলটির শীর্ষ নেতারা। তারা বলছেন,রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।আজ যা হয়নি কাল তা হতেও পারে।

তবে বেশিরভাগ নেতা পদত্যাগের বিষয়টিকে ব্যক্তিগত মনে করলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হয়নি বলে মনে করছেন কেউ কেউ। বিষয়টি নানামুখী চাপে থাকা বিএনপির জন্য বিব্রতকর বলেও মনে করছেন তারা।

বেশ কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক অঙ্গণে অনুপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী।সরকার দলীয় সাংসদের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার মামলায় পাঁচ মাস কারাভোগের পর গত মে মাসে মুক্তি পান এই সাবেক কূটনীতিক।

বিএনপির হয়ে কখনো নির্বাচন না করলেও দলের শীর্ষ পর্যায়ে বেশ প্রভাব ছিল সিলেটের এই নেতার। বিশেষ করে বিএনপির কূটনৈতিক বিষয়গুলো দেখভাল করায় দলে গুরুত্বও কম ছিল না। যদিও দলেরই অনেকে তাকে সন্দেহের চোখে দেখতেন।

বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের মাধ্যমে চেয়ারপারসন বরাবরে পদত্যাগপত্র জমা দেন শমসের মবিন চৌধুরী।মূলত বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে।মূহুর্তে রাজনৈতিক অঙ্গণে অনেকটা তোলপাড় শুরু হয়ে যায়।পরে তিনি গণমাধ্যমের কাছে পদত্যাগ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন।এ সময় তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে জানান।

সহকর্মীর রাজনীতি থেকে পদত্যাগের বিষয় নিয়ে কথা বলতে বৃহস্পতিবার দুপুরে যোগাযোগ করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহর সঙ্গে।

তিনি বলেন, “তিনি (শমসের মবিন)একজন অভিজ্ঞ কূটনীতিক।এজন্য তিনি চেয়ারপারসনকে কূটনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়ে সহযোগিতা করতেন। সেক্ষেত্রে তার পদত্যাগে কিছুটা হলেও অভাব দেখা দিবে।”

“সরকারের অগণতান্ত্রিক আচারণ ও দমনপীড়নের কারণে তিনি হয়তো অসুস্থতার পাশাপাশি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। যে কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন।আমি আশা করি তিনি দ্রুত সু্স্থ হয়ে রাজনীতিতে ফিরবেন।তার জন্য দলের দরজা সব সময় খোলা থাকবে।” বলেন হান্নান শাহ।

আর স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য লে. জেনারেল (অব.)মাহবুবুর রহমান মনে করেন অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তার পদত্যাগকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে দেখা উচিত।

তিনি বলেন, “শরীর ঠিক না থাকলে তো কিছুই ঠিক নেই। তাই কেউ যদি মনে করে শারীরিক অসুস্থতার কারণে এই মুহূর্তে তার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা ঠিক নয়,তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করতেই পারেন।”

তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের ভাষ্য হলো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত থেকে যে কেউ পদত্যাগ করতেই পারে।তবে তিনি রাজনীতি করলেও মাঠে তার বিচরণ কম ছিল। তিনি বলেন, “কেউ ব্যক্তিগতভাবে পদত্যাগ করলে তার দলে প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না।”ঢাকাটাইমস



মন্তব্য চালু নেই