তারেকের সমন লন্ডনে গেল কিনা জানতে চান হাইকোর্ট

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে করা মামলার সমন লন্ডনের ঠিকানায় পৌঁছেছে কিনা তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আগামী তিনদিনের মধ্যে তা নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিলের শুনানির দিন ধার্য করার জন্য আগামী ৩ মার্চ পরবর্তী তারিখ ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অর্থপাচার (মানিলন্ডারিং) মামলায় তার খালাস পাওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিলের পর ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি আজ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেননি বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এ বিষয়ে ২০ জানুয়ারি ও ২১ জানুয়ারি দু’টি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন। ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচারকৃত ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।

এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এরপর গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানায় দুদক। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ১২ জানুয়ারি তারেকের বিরুদ্ধে সমনে নোটিশ জারির আদেশ দেন।



মন্তব্য চালু নেই