রংপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ১২ জনের মধ্যে ৯ জন সনাক্ত

রংপুরের তারাগঞ্জে সায়মন ও তৃপ্তি পরিবহনের দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১২ জনের মধ্যে ৯ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জের ইকরচালী বরাতির ব্রিজ এলাকায় মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক বাসযাত্রী।

নিহতরা হলেন, সৈয়দপুর উপজেলার ইউনুস আলীর ছেলে মহাম্মদ আলী (৪৫), একই এলাকার সাবেদ আলীর ছেলে আবদুল মতিন (৩২), ইকরচালী ফারুকিয়া মাদরাসার সহকারী শিক্ষিকা জিন্নাত আরা (৩৫), সায়মন পরিবহনের চালক সৈয়দ আলী (৪৮), দিনাজপুরের চিরিরবন্দর এলাকার অতুলচন্দ্র রায়ের ছেলে চন্দন রায় (৩০), তৃপ্তি পরিবহনের বাসচালক তৈয়ব আলী (৪৫), রংপুরের গঙ্গাচড়ারা চেংমারি এলাকার বকরউদ্দিনের ছেলে অকুল মিয়া (৩০), নীলফামারীর কুঠিমারি কাচারীপাড়া এলাকার বছিরউদ্দিনের ছেলে আতোয়ার রহমান (৪৩), একই এলাকার ছকমল আলীর ছেলে লিটন মিয়া (২২)। অন্য তিনজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

নিহত ১২ জনের মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সায়মন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাস বুধবার বেলা ১১ টার দিকে ওই এলাকায় পৌঁছালে সামনের ডানদিকের চাকা পাংচার হয়। এসময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা দিনাজপুর থেকে রংপুরগামী তৃপ্তি পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ৮ জন এবং হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৪ জন নিহত হন।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক বাসযাত্রী। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে প্রায় ২ ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে।



মন্তব্য চালু নেই