তাজমহল আগে শিবমন্দির ছিল! পুজোমন্ডপ করার দাবি

বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের একটি ভারতের আগ্রায় অবস্থিত তাজমহল। সম্রাট শাহজাহানের আমলে এটি নির্মিত হয়। সেখানে তার স্ত্রী মমতাজের সমাধিও রয়েছে। তবে তাজমহল নাকি একটি শিবমন্দির। এখানো কোনো কবর নেই। আগে পুজো হতো। এতদিন এ দাবিটা ছিল মৌখিক। ভারতের হিন্দুত্ববাদী দল রাষ্ট্রী স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) সহ গেরুয়া শিবিরের কট্টর অনান্য হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর নেতা-নেত্রীরা মাঝে মাঝে এ দাবি করে আসছিলেন।

কিন্তু এবার আর শুধু মুখের কথা নয়, পুজোমন্ডপ করার জন্য একেবারে আদালতের শরণাপন্ন হলেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কয়েক জন আইনজীবী।

তাদের দাবি, তাজমহল না কি আদতে শিবমন্দির! অবিলম্বে তার আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হোক। এই দাবিতে আরএসএসপন্থি ছয় আইনজীবী আগ্রা সিভিল কোর্টে মামলা ঠুকেছেন।

বর্তমানে তাজমহলের দেখভালের দায়িত্বে এখন ইন্ডিয়ার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের হাতে। হরি শঙ্কর জৈন ও আরো পাঁচ আইনজীবীর দাবি, তাজমহলের আসল মালিক ঈশ্বর আগ্রেশ্বর মহাদেব। তাজমহলের সব সমাধি উড়িয়ে সেখানে বন্ধ হোক মুসলিমদের উপাসনার অধিকার। এর বদলে সেখানে চলুক হিন্দুদের শিব পুজো।

অযোধ্যায় রামজন্মভূমি সংক্রান্ত বিতর্কিত এক মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে। এর মধ্যে আরো একটি ধর্ম সংক্রান্ত বিতর্কিত দাবিপূর্ণ মামলা আসায় দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের আশঙ্কা করছেন অনেকে।

এই মামলায় তাজমহলের মূল ইমারতটিও (যেটিকে একটি মসজিদ হিসেবে বর্তমানে গণ্য করা হয়) তার সামনের অঞ্চল এবং পশ্চিম দিকে বাগানসহ মূল ইমারতের রেপ্লিকাসহ সমগ্র ৭৭ বিঘা জমির মালিকানা দাবি করা হয়েছে।

আইনজীবীদের দাবি, এই সম্পতির মালিকানা দেবতার। এখানে নাকি বহু বহু যুগ আগে ঈশ্বর আগ্রেশ্বর মহাদেব নগ্নাথেশ্বর বাস করতেন। মামলায় আরো বলা হয়েছে ‘এটি কোনো কবরস্থান নয়, কোনো দিন ছিলও না। এখানে কোনো প্রকৃত কবরই নেই। এই স্থানে হিন্দুদের পুজো ছাড়া বাকি সব কিছুই বেআইনি ও অসাংবিধানিক। হিন্দু আইন অনুযায়ী এই স্থানের মালিক পুজ্য দেবতা। এমনকি রাজারও অধিকার নেই ঈশ্বরের সম্পত্তি হস্তান্তর করার।’

প্রসঙ্গ গুজরাটের বাবরি মসজিদকে প্রাচীন রামমন্দির দাবি করে সেখানে বহুদিন থেকে পুজো করার দাবি করে আসছে হিন্দুত্ববাদীরা। ওই মসজিদটি নিয়ে ২০০২ সালে দাঙ্গায় এক হাজারের বেশি লোক মারা যান।

তথ্যসূত্র : জিনিউজ।



মন্তব্য চালু নেই