রাউজান নোয়াজিষপুরে এশায়াত মাহফিলে অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুনির উল্লাহ্

তরিক্বত চর্চায় আধ্যাত্মিক কর্মকান্ডের জ্যোতিতে সুষ্ঠু মন-মানসিকতা গড়ে ওঠে

কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মোর্শেদে আজম আওলাদে রাসূল হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেছেন, ইসলামের কাছে পাপ ঘৃণ্য, কিন্তু ভুলে ভরা পাপী-তাপীর জন্য ইসলাম বড়ই ব্যথিত ও মর্মাহত। আর তাইতো ‘পাপকে ঘৃণা কর, পাপীকে নয়’ -এ মহান নীতিটিই ফুটে ওঠে শতাব্দীর সেরা আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব কাগতিয়ার গাউছুল আজমের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন দর্শনে। যার দরদমাখা আহবানে ও ঐকান্তিক আধ্যাত্মিক প্রচেষ্ঠায় অসৎ সঙ্গদোষের কারণে অসুন্দরের দিকে পা বাড়ানো হাজার হাজার যুবককে আলোর পথে ফিরিয়ে আনার ঘটনা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিপথগামীদেরকে ঘৃণাভরে দূরে ঠেলে দিলে তারা আরও বেপরোয়া ও বিপদগ্রস্থ হবে। তাদেরকে আধ্যাত্মিক চেতনায় জাগরিত করতে হবে। কেননা তরিক্বত চর্চায় আধ্যাত্মিক কর্মকান্ডের জ্যোতিতে সুষ্ঠু মন-মানসিকতা গড়ে ওঠে। আর তা গড়ে তুলতে পারলেই যুবকদের চিন্তা-চেতনায় সততা ও মানবিকতার উদ্ভব ঘটবে।

তিনি ১৩ মার্চ শুক্রবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) ও ফাতেহায়ে এয়াজদাহুম উদ্যাপন উপলক্ষে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ১০৩নং নোয়াজিষপুর দলইনগর শাখার উদ্যোগে চট্টগ্রামের উপস্থিত হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি আরও বলেন, তরিক্বতের সিঁড়ি বেয়েই একজন তরিক্বতপন্থি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে এবং প্রিয় রাসুলের প্রতি অগাধ প্রেম-ভালবাসা ও আদর্শে জীবন গড়তে ব্রতী হন। সাদেকীনের সৎসর্গ লাভে মনে-প্রাণে উজ্জীবিত হন। সর্বদা আল্লাহর ভয় ও ভরসার উপর অটল থেকে আল্লাহর স্মরণ থেকে বিচ্যূত হওয়া থেকে নিজেকে হেফাজত করতে সক্ষম হন। মাহফিলে সর্বস্তরের হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছাড়াও এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, আলেম, ব্যবসায়ি উপস্থিত ছিলেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সরোয়ার্দী সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে অতিথি ছিলেন চবি শাহ আমানত হলের প্রভোষ্ট প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর, উপাধ্যক্ষ আল্লামা জাফর আহমদ ছিদ্দিকী, উপাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক মুহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, অধ্যাপক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক মুহাম্মদ অলি আহাদ চৌধুরী, অধ্যাপক মুহাম্মদ নোহেল সিকদার। প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া। সভাপতির বক্তব্যে বলেন, কোরআন-সুন্নাহ্ অনুযায়ী বাস্তব জীবন পরিচালিত করাই ঈমানের মূল দাবী। আর এক্ষেত্রে কোরআন-সুন্নাহর আমলে জীবন গঠনে সুন্দর দিক-নির্দেশনা রয়েছে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে। সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজকে শৃঙ্খলার পথে ফিরিয়ে আনতে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির প্রচেষ্ঠা ও উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া বলেন, মুসলিম নারীদের জন্য এ দরবারের তাওয়াজ্জুহ-বিল-গায়েব ব্যবস্থাপনায় ইসলামী দর্শনশাস্ত্র এক চূড়ান্ত রূপ পরিগ্রহণ করে, যা কেবল ইসলামের সোনালী যুগের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। এতে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন মুনিরীয়া তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ওলামা পরিষদের সচিব আল্লামা মুহাম্মদ ইব্রাহিম হানফী, কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম. এ. মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মুহাদ্দিস আল্লামা মুহাম্মদ আশেকুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান নোমান প্রমুখ।

মিলাদ ও কিয়াম শেষে হুজুর ক্বেবলা দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা কাগতিয়ার গাউছুল আজমের দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।



মন্তব্য চালু নেই