তন্ত্রমন্ত্রে ভয়ংকর বজ্রপাতে ধ্বংস পুরো দল

গল্প হলেও সত্যি। নির্মম বাস্তব। প্রথমে শুনলে অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবে না। কিন্তু ঘটনাটি নিয়ে একটা সময় প্রচুর হৈ চৈ হয়েছিল। প্রায় ১৬ বছর পূর্ণ করতে চলেছে ফুটবল মাঠের সেই কলংকিত অথচ ভয়ংকর অধ্যায়টি।

১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাস। আফ্রিকা মহাদেশের দেশ কঙ্গোর কাশাই প্রদেশে স্থানীয় একটি ফুটবল দলের সঙ্গে সফরকারী একটি দলের নিছকই একটি ফুটবল ম্যাচ। এবং সেই ম্যাচের মাঝপথে ঘটে ভয়ংকর এক বজ্রপাতের ঘটনা।

পরের ঘটনাটি তার থেকেও ভয়ংকর এবং অভাবনীয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। একটি দলের পুরো ১১জন ফুটবলারই সেই বজ্রপাতে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়েছিল। যাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। বিষয়টি আরও আশ্চর্য মনে হবে, যখন জানা গেল মৃত ফুটবলাররা প্রত্যেকেই একই দলের এবং সেই দলটি ছিল আমন্ত্রিত। অর্থাৎ, ‘অতিথি’ দল।

কিন্তু বজ্রঘাত থেকে অদ্ভুতভাবে বেঁচে যান আয়োজক ‘বাসাঙ্গা’ দলের ফুটবলাররা। তাদের কোনও ফুটবলারের কিচ্ছু হয়নি। এমনটি ফুলের আঁচড় পর্যন্ত লাগেনি। কঙ্গোর কিনশাসা থেকে প্রকাশিত প্রথম শ্রেণীর পত্রিকা লা’এভেনির-এ সর্বপ্রথম খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল।

লা-এভেনির বরাতে ঘটনাটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল লন্ডন থেকে প্রকাশিত বিবিসি, গার্ডিয়ান এমনকি ইন্ডিপেন্ডেন্টের মত পত্রিকায়ও। ঘটনার বিবরণে বলা হয়, কঙ্গোর কাশাই প্রদেশে স্থানীয় একটি ফুটবল দলের সঙ্গে আয়োজিত এই ম্যাচে সফরকারী দল এই বজ্রপাত দুর্ঘটনার শিকার হয়। ম্যাচ চলাকালেই আচমকা বজ্রপাতে মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সফরকারী দলের সব খেলোয়াড়। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, এই বজ্রপাতে স্থানীয় দলের কোনো খেলোয়াড়ের শরীরেই ফুলের টোকাটি পর্যন্ত পড়েনি।

এই ঘটনার পর গোটা দেশে তোলপাড় হয়ে যায়। পত্রিকাটি এরপর যেটা জানায়, সেটা আরও চাঞ্চল্যকর। খেলাটি চলার সময় বিপক্ষ দলের ওপর না কি বিভিন্ন ধরনের তন্ত্রমন্ত্র প্রয়োগ করা হয়েছিল। কঙ্গোতে এখনও তন্ত্রমন্ত্রে বিশ্বাস করেন প্রচুর মানুষ এবং আফ্রিকার অনেক দেশেই ফুটবল ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মন্ত্রতন্ত্র ব্যবহারের ঘটনা ঘটে। এসব ব্যাপার না কি স্থানীয় সংস্কৃতিরই অংশ। কিন্তু প্রাণঘাতী সেই বজ্রাঘাতে যখন মানুষের মৃত্যু হয়, তখন সেটা অবশ্যই নিন্দনীয়। লজ্জার।



মন্তব্য চালু নেই