তনুর চেহলাম অনুষ্ঠান প্রতিবাদ সভায় পরিণত

দুর্বৃত্তের হাতে নিহত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর গ্রামের বাড়িতে শুক্রবার চেহলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে জেলার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরের গ্রামের বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তবে চেহলাম অনুষ্ঠানটি শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদ সভায় রূপ নেয়। হত্যার ৪০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো হত্যার মোটিভ কিংবা কোনো ঘাতক চিহিৃত না হওয়ায় সেখানে আসা শোকাহত লোকজন চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে ঘাতকদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।

জানা যায়, গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে পাওয়ার হাউজের পাশের একটি জঙ্গলে লাশ ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা।

পুলিশ, ডিবির পর বর্তমানে কুমিল্লা সিআইডি মামলাটি তদন্ত করছে। কিন্তু ৪০ দিনেও মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। দফায় দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও জিজ্ঞাসাবাদের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে দেশব্যাপী বহুল আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কার্যক্রম।

শুক্রবার তনুর মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বাড়িতে আয়োজন করা হয় চেহলামের। কিন্তু চেহলাম অনুষ্ঠান রূপ নেয় প্রতিবাদ সভার। সেখানে আসা শোকাহত লোকজন বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, সরকারের আন্তরিকতা থাকলে এ হত্যাকাণ্ডের ঘাতকরা গ্রেফতার হতে এতো সময় লাগতো না। চেহলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নব গঠিত বাঙ্গরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেনসহ মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এসময় তনুর ঘাতকরা ৪০ দিনেও সনাক্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ও স্বজনরা।

চেহলাম অনুষ্ঠানে অবিলম্বে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও ঘাতকদের চিহ্নিত এবং গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

এ বিষয়ে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার তনুর মৃত্যুর ৪০ দিন হয়েছে। কিন্তু এলাকাবাসী আজ চেহলাম অনুষ্ঠানে এসে এখনো হত্যাকারী চিহ্নিত ও গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনাবাহিনীর প্রধান, আইজিপি ও সিআইডির ডিআইজিসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা তনু হত্যার বিষয়ে আমাদেরকে ও দেশবাসীকে আশার বাণী শুনিয়েছিলেন। কিন্তু এখন আমি হতাশ, জানি না আমার নিরপরাধ মেয়ে হত্যার বিচার পাবো কিনা।



মন্তব্য চালু নেই