ঢাকা ব্যাংকের পরিচালকের পদ হারালেন আব্বাস

ঢাকা ব্যাংকের পরিচালক পদে মির্জা আব্বাসের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ফৌজদারি মালমার আসামি হওয়ায় এবং ব্যাংকের নিয়মিত বৈঠকে অংশ না নেয়ায় ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের মেয়াদ বৃ্দ্ধির আবেদন বাতিল করা হয়।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা ব্যাংক থেকে ২১ মে ব্যাংকটির পরিচালক পদে পুনঃনিয়োগের জন্য আমাদের কাছে আবেদন করা হয়।

আমরা তাঁর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে জানতে পারি তিনি ফৌজদারি মামলার আসামি। একজন আসামি একটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে থেকে জনগণের আমানতের সুরক্ষা করতে পারবে না।

কারণ আসামি হওয়ার কারণে নিয়মিতভাবে ব্যাংকের মিটিংয়ে তিনি অংশ নিতে পারবেন না। সে কারণেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সূত্র আরও জানায়, ব্যাংকের নিয়মিত বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন না এমন ব্যক্তিকে কেন পুনঃনিয়োগের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৪ জুলাই ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান রাশেদুর রহমানকে এ চিঠি দেয়।

আর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ১২টি সভা (২৩৭-২৪৮তম সভা) অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১১টিতে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন মির্জা আব্বাস।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে ঢাকা ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। এর ছয় বছর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস ব্যাংকটিতে অলটারনেট পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। তখন থেকে তিনি ব্যাংকটিতে একজন পূর্ণ পরিচালক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন।

তার বিরুদ্ধে ৩১টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তার অপরাধের প্রমাণও মিলেছে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন-২০১৩ এর ১৫ ধারার ৬(ই) উপ-ধারায় বলা হয়েছে, কোনো পরিচালকের বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলায় আদালতের রায়ে যদি কোনো বিরূপ পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য থাকে তবে তিনি পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।



মন্তব্য চালু নেই