ঢাকা আসছেন জয়শঙ্কর

ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর শিগগিরই ঢাকা সফরে আসছেন ।

নয়াদিল্লির সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক জোরদারের অংশ হিসেবে এই সফর বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

গত মাসের শেষদিকে সুজাতা সিংকে সরিয়ে জয়শঙ্করকে পররাষ্ট্র সচিব করে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

ভারতের শীর্ষ কূটনীতিকের দায়িত্ব নেওয়ার পর ঢাকা সফরেই বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হচ্ছে তার।

শুক্রবার নয়া দিল্লিতে পররাষ্ট্র সচিবের এ সফরের ঘোষণা দিয়ে মোদি বলেন, ‘সার্ক দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো জোরদার করতে শিগগিরই আমরা নতুন পররাষ্ট্র সচিবকে ‘সার্ক যাত্রায়’ পাঠাচ্ছি।’

এর আগে সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশ নেওয়া সার্কভুক্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে টেলিফোনে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সাফল্যও কামনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। পরে বিষয়টি মোদি টুইটার বার্তায় নিশ্চিত করেন।

পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে যোগদানের পর জয়শঙ্করের প্রথম ‘হাইপ্রোফাইল’ সফর হবে পাকিস্তানের ইসলামবাদ। বিষয়টি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করলেও সেই সফরের নির্দিষ্ট তারিখের কথা জানাতে পারেননি তারা। তবে এ সফর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।

সার্কভুক্ত দেশগুলোতে ধারাবাহিক সফরের অংশ হিসেবে পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকায় আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে ঝুলে থাকা দুটি বিষয় (স্থল সীমান্ত ও তিস্তা পানি চুক্তি) আগামী পার্লামেন্ট অধিবেশনেই মিটিয়ে ফেলতে চায় ভারত সরকার। এ বার্তাই বাংলাদেশ সরকারকে পৌঁছে দিতে জয়শঙ্করকে বলেছেন নরেন্দ্র মোদি।

ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরে দেশটির পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত বিল পাসের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিও বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের দাবি।

কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালে ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির মুখে তা আটকে যায়।

সে সময় স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরেরও বিরোধিতা করেছিলেন মমতা। তবে গত বছর ভারতের লোকসভা নির্বচনে জয়ী হয়ে বিজেপি সরকার গঠনের পর অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা।



মন্তব্য চালু নেই