ঢাকায় বসছে নতুন সিসি ক্যামেরা, ছবি উঠবে অন্ধকারেও

শহরের নিরাপত্তা বাড়ানোতে নতুন ধরনের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনের কথা জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। জানিয়েছেন এই ক্যামেরাগুলো রাতেও স্পষ্ট ছবি তুলতে পারে।

সোমবার বিকালে রাজধানীর মিরপুরে এক অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন। করপোরেশনের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক এলাকার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য ওই এলাকায় যান মেয়র।

এ সময় নগরের নানা সমস্যা সমাধানে করপোরেশনের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘শহরের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য গত সপ্তাহে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাড়ে চারশ কোটি টাকা দিয়েছেন। এই টাকা দিয়ে লাইটিং ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। আমরা ভাল মানের সিসিটিভি ক্যামেরা আনব। ক্যামেরা এমন হবে যেখানে অন্ধকারেও মানুষের চেহারা দেখা যাবে।’

নগরীতে গত কয়েক বছরে বেশ কিছু এলাকায় ক্লোস সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। দিনের বেলায় এসব ক্যামেরায় বেশ ভালো ছবি তোলা গেলেও বিশেষ করে রাতের ছবি স্পষ্ট না হওয়ায় অপরাধীদেরকে শনাক্ত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নতুন ক্যামেরাগুলো স্থাপন হলে এসব সমস্যা থাকবে না বলে জানান মেয়র।

এরই মধ্যে গুলশান বনানী ও বারিধারা এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮ কোটি টাকা অনুদান পাওয়া গেছে জানিয়ে মেয়র বলেন, এই টাকার একটি বড় অংশ দিয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

ইউরোপ অথবা আমেরিকা ভালো মানের এলইডি বাতি আনার কথাও জানান মেয়র। বলেন, এসব বাতির ১০ বছরের গ্যারান্টি থাকবে।

২০১৮ সালের মধ্যে ঢাকা উত্তরের প্রতিটি সড়ক মেরামত কাজ শেষ করার কথা জানান আনিসুল হক। তিনি বলেন, এমনভাবে সড়কগুলো সংস্কার করতে হবে যেন আবার কাজ করতে না হয়। এসব কাজে নজরদারি করার আহ্বান জানিয়ে নাগরিকদেরকে মেয়র বলেন, ‘যদি কোথাও রাস্তার কাজে ফাঁকিবাজি দেখতে পান, তবে ছবি তুলে ডিএনসিসির মোবাইল অ্যাপে বা আমার পিএস এর মাধ্যমে নিশ্চিত প্রমাণ নিয়ে আমার সাথে দেখা করুন।’

দুর্নীতির প্রমাণ পেলে সড়ক মেরামতের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ারকে সিটি করপোরেশন থেকে বের করে দেয়ার কথাও বলেন মেয়র আনিসুল হক।

মেয়র বলেন, ‘এক বছর আট মাসের মতো হল আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। তখন নিরাপদ, আলোকিত, ক্লিন ঢাকা, গ্রিন ঢাকা ও জলাবদ্ধতা মুক্ত ঢাকা গড়ার জন্য মোটা দাগে আপনাদের কাছে ওয়াদা করেছি।’ ২০১৮ সালের মধ্যে ডিএনসিসির বেসিক কোন উন্নয়ন কাজ যেন বাকি না থাকে সে লক্ষে ডিএনসিসির সকল প্রকৌশলীদের তাগাদা দেন মেয়র।

গ্রিন ঢাকা গড়তে নগরে বৃক্ষ রোপনের মধ্যেও কখনও কখনও রাস্তা বড় করার জন্য গাছ কাটতে হয় বলে জানান মেয়র। বলেন, ‘গাছ কাটতে কষ্ট হয়। তবে যেসব গাছ ড্রেন, রাস্তা বা মানুষের ক্ষতি করার মতো ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে সেগুলোকে আমাদের কাটতে হয়।’ তবে নতুন করে আরো বেশি গাছ লাগানোর বিষয়টি ডিএনসিসি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।

শব্দ দূষণ রোধেও সিটি করপোরেশনের উদ্যোগের কথা জানান মেয়র আনিসুল হক। বলেন, আগামী এপ্রিল থেকে রাত ১১টার পর কাউকে কোনো কাজেই মাইক ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। বলেন, ‘কেউ যদি ১১টার পর মাইক বাজান, তাহলে ওই ব্যক্তির সারা জীবনের জন্য মাইক বাজানো বন্ধ হয়ে যাবে।’

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহুল হকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক।



মন্তব্য চালু নেই