ঢাকায় এ লেভেলের এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ
ঢাকার বনানী থেকে এ লেভেলের এক শিক্ষার্থী চার দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।
স্কলাসটিকা থেকে ও লেভেল শেষ করা মীর সামেহ মোবাশ্বের (১৮) গত সোমবার বনানী ডিওএইচএসের বাসা থেকে গুলশানে একটি কোচিংয়ের উদ্দেশে যাওয়ার পর থেকে তার খোঁজ মিলছে না।
সামেহের চাচা এমএ হাসান আল মুরাদ জানান, ওই দিন বিকাল ৩টায় প্রাইভেটকারে করে গুলশান এভিনিউয়ের আর এ কোচিং সেন্টারের উদ্দেশে গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বেরোন সামেহ।
“পরে গাড়িচালক জুয়েল তাকে আনতে গেলে আর পাওয়া যায়নি। তার মোবাইলও বন্ধ। ওই দিন সামেহ ওই কোচিং সেন্টারে যায়নি বলে সেখান থেকে জানানো হয়েছে।”
সামেহের খুব ঘনিষ্ঠ কোনো বন্ধু ছিল না বলে জানান তার খালাতো বোন সারাহ বিনতে হামিদ।
“ও খুবই সাদাসিদে, বন্ধু বলতে তেমন কেউ নেই।”
ওই দিন শুধু গাড়িচালক ছাড়া পরিবারের বাইরের কারও সঙ্গে তার মোবাইলে যোগাযোগের তথ্য পায়নি পুলিশ।
ছেলের খোঁজ না মেলায় সোমবারই গুলশান থানায় একটি জিডি করেন সামেহের বাবা অ্যালকাটেল-লুসেন্ট বাংলাদেশের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মীর হায়াত কবির।
তার ওই জিডির ভিত্তিতে গাড়িচালক জুয়েলকে আটক করে পুলিশ। বের করা হয়েছে সামেহের মোবাইলের কল লিস্ট।
গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল আলম বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল বলেছে, যানজটের কারণে সামেহকে কোচিং সেন্টারের আগেই নামিয়ে দিয়েছিল।
“সে কখনও বলছে, সামেহকে বনানী আগোরার সামনে নামিয়ে দিয়েছে। আবার বলছে, আজাদ মসজিদের কাছে নামিয়ে দিয়েছে।”
ওই সময় সামেহ যে সব এলাকায় যেতে পারে সেসব এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে নাজমুল বলেন, “পরে দেখা যায় সামেহ বনানী সংযোগ সেতু এলাকায় রিকশাওয়ালার সাথে কথা বলছে এবং এক পর্যায়ে রিকশায় চড়ে যাচ্ছে।”
সামেহের মা খালেদা পারভীন সরকারি তিতুমীর কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
তারা দুই ভাই- বড় ভাই মীর সাদমান মুনতাসিম কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে গ্রাজুয়েশন করছেন।
ঘটনার দিন সামেহ বাসা থেকে বেরোনোর আগে তার মা কলেজ থেকে বাসায় ফিরলে মা-ছেলের মধ্যে শেষ কথা হয় বলে খালাত বোন সারাহ জানান।
“খালা বাসায় ঢোকার সময় সামেহ কোচিংয়ের জন্য বের হচ্ছিল। মা ছেলের মুখোমুখি হওয়ার পর নছিলা দিয়ে পাউরুটি খেতে বলেছিলেন খালা। কোচিং শেষে করে বাসায় ফিরে নাস্তা করবে বলে সে বেরিয়ে যায়।”
পরিবারের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন জায়গায় সামেহের খোঁজ করে কিছু পাওয়া যায়নি। মুক্তিপণ চেয়েও কেউ ফোন করেনি বলে জানান সারাহ।
মন্তব্য চালু নেই