ঢাকাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হবে

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন বলেছেন, ‘পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের সব এলাকাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি দেশে এ কর্মসূচির আওতা বাড়ানো হবে।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরকে ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষ্যে ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’ শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, এ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা মহানগরীর ১০টি জোনে ১০ হাজার ভিক্ষুকের ওপর জরিপ কাজ পরিচালনা করা হয়েছে। জরিপকৃতদের মধ্যে ২ হাজার জনকে পুনর্বাসনের জন্য নির্ধারণ করা হয়। পাইলটিং প্রজেক্ট হিসেবে ময়মনসিংহ জেলায় ৩৭ জন ও জামালপুর জেলায় ২৯ জনকে রিকশা, ভ্যান ও ক্ষুদ্র ব্যবসার পুঁজি দেয়ার মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পরবর্তীতে পাইলটিংয়ের ফলাফলের ভিত্তিতে কর্মসূচির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে, ঢাকা শহরের বিমানবন্দর, হোটেল সোনাগাঁও, হোটেল রুপসী বাংলা, হোটেল রেডিসন, বেইলি রোড, কূটনৈতিক জোন ও দূতাবাস এলাকাগুলোকে প্রাথমিকভাবে ভিক্ষাবৃত্তিমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’

নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান দেশে প্রতিবন্ধী, তৃতীয়লিঙ্গ ও হরিজন সম্প্রদায়ের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা কত। উত্তরে প্রমোদ মানকিন বলেন, ‘প্রতিবন্ধী শনাক্তকরণ জরিপ কর্মসূচির মাধ্যমে গত ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪ লাখ ৮৮ হাজার আটজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ডাক্তার কর্তৃক শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের তথ্য সফটওয়ারে সন্নিবেশিত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫-১৬ অর্থবছরে সর্বশেষ জারিকৃত তথ্য মোতাবেক তৃতীয়লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৯ হাজার ৩৭৯ জন এবং হরিজন সম্প্রদায়ের সংখ্যা ১২ লাখ ৮৫ হাজার একজন।’

এছাড়া, মহিলা আসন-৪৩ এর সংসদ সদস্য বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সরকারের পাশাপাশি দেশের শিল্পপতি, বিত্তবানদের উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে।’



মন্তব্য চালু নেই