ঢাকার পর ঝিনাইদহে জায়ান্ট মিলিবাগ পোকার সন্ধান

রাজধানী ঢাকর পর ঝিনাইদহের শৈলকূপায় আতংক সৃষ্টিকারী পোকা জায়ান্ট মিলিবাগের সন্ধান পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শৈলকূপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা শহরের পশু হাসপাতাল এলাকায় পোকাটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

জায়ান্ট মিলিবাগ পোকা নিয়ে গত রোববার গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে তার সভাকক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনের দুইদিন পরই ঝিনাইদহে পোকাটির সন্ধান পাওয়া গেল।

শৈলকূপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, শৈলকূপা শহরের পশু হাসপাতাল এলাকায় সাংবাদিক এম হাসান মুসার বাগানে জায়ান্ট মিলিবাগ পোকাটি দেখা যায়। পরে শৈলকূপা কৃষি বিভাগের একটি দল সাংবাদিক মুসার বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পোকাটি জায়ান্ট মিলিবাগ বলে নিশ্চিত হয়।

কৃষিবিদ বিজয় কৃষ্ণ হালদার আরো জানান, পানি ছাড়া সরাসরি বিষ প্রয়োগের ফলে পোকাটি মারা যাচ্ছে। টপসিন নামক কীটনাশক এই পোকা দমকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।

শৈলকূপা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাসান মুসা জানান, গত বছর থেকেই তার বাগান বাড়িতে জায়ান্ট মিলিবাগ পোকাটি দেখা যায়। এ বছর বংশ বিস্তার করে তা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, উদ্ভিদভোজী জায়ান্ট মিলিবাগ আফ্রিকা মহাদেশের পোকা। সাধারণত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মাটির নিচে থাকা ডিম থেকে বের হয়ে গাছে ওঠে। মার্চ থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিভিন্ন গাছের রস খেয়ে বড় হয়। এরপর পোকাগুলো ডিম পাড়ার জন্য আবার মাটিতে ফিরে আসে। সাধারণত ১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার মাটির নিচে প্রতিটি জায়ান্ট মিলিবাগ ২০০ থেকে ৪০০ করে পোকা ডিম পাড়ে।

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন জানান, জায়ান্ট মিলিবাগ দমনের জন্য কার্যকর কীটনাশক খোঁজা হচ্ছে। কার্যকর ওষুধ সনাক্ত করার পর জেলাব্যাপী পোকাটির ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরে প্রচারণা চালানো হবে।



মন্তব্য চালু নেই