ড. জাফরউল্লাহকে সাজা থেকে অব্যাহতি

নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় আদালত অবমাননার দায়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

জরিমানার আদেশ বাতিলের আবেদন জানিয়ে করা আপিল মামলার শুনানি শেষ হয় গতকাল সোমবার।

এর আগে গত ১৬ জুন ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে চেম্বার বিচারপতির (চেম্বার জজ) আদালতে আবেদন করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে তা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন এবং জরিমানার আদেশ ৫ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন ।

আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল ৫ জুলাই। তবে গত ১৩ জুলাই কার্যতালিকায় এলে শুনানি পেছানোর আবেদন জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আইনজীবী। এর পরিপ্রেক্ষিতে ধার্য করা দিন সোমবার শুনানি শেষ হয়।

গত ১০ জুন চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আদালত অবমাননার দায়ে এক ঘণ্টার কারাদণ্ড (এজলাসকক্ষে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা) এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে।

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ নাগরিক ও সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সাজার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়ায় ডা. জাফরুল্লাহর এ সাজা হয়। তিনি দণ্ড ভোগ করতে কাঠগড়ায় ওঠার ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানিয়ে এক ঘণ্টা ২৫ মিনিট ধরে এজলাসে বাগবিতণ্ডা, ট্রাইব্যুনাল ও বিচারপতিদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। এমনকি জাফরুল্লাহ বিচারপতিদের বলেন, ‘আপনারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ আদেশ দিয়েছেন।’ বিচারকরা এজলাস ত্যাগ করার পরও উচ্চকণ্ঠে তিনি বলতে থাকেন, ‘এটা বিচারকদের অসহিষ্ণুতার লক্ষণ।’

অবশেষে অনেকের অনুরোধ ও পীড়াপীড়িতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দণ্ড ভোগ করলেও ট্রাইব্যুনাল কক্ষ থেকে বের হয়েই ডা. জাফরুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করবেন না। তাতে যা হবার হবে।

ট্রাইব্যুনালের এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও সে সময় সাংবাদিকদের জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই