ডেপুটি স্পিকার বিরোধী দল থেকে

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ীই শিগগিরই বিরোধী দল থেকে সংসদে ডেপুটি স্পিকার করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ।
বুধবার বিকেলে পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। সংসদ বিষয়ে টিআইবি প্রকাশিত রিপোর্টের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার জানানোর জন্যই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অপেক্ষা করুন। কেবল তো সংসদের বয়স ৭ মাস। এখনও অনেক সময় আছে। হঠাৎ করেই দেখবেন বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে চিফ হুইপ টিআইবির প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান না করে গঠনমূলক সমালোচনা ও সুপারিশগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে বলেও মতামত দেন।
এসময় দশম জাতীয় সংসদে বিএনপি উপস্থিত না থাকায় তাদের নিয়ে সমালোচনাকে ‘অশোভন’ বললেও তা মেনে নিতে বলেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ।
তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে সংবিধান ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের কটূক্তির জবাব দিতে গিয়ে এমন সংসদ এমন সমালোচনার সৃষ্টি হচ্ছে। এমন মন্তব্যকে মেনে নিতে হবে আমাদেরকে।’
সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশকে অকার্যকর করতে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেয়নি। দেশে একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চলছে। অথচ তারেক রহমান ও বিএনপির কিছু নেতা বঙ্গবন্ধু ও সংবিধান নিয়ে কটূক্তি করেই যাচ্ছে। তাই সংসদ সদস্যরা নিজেদের বিবেক থেকে সংসদে বিএনপির বিরুদ্ধে সমালোচনা করছে। অনেক সংসদ সদস্য আছেন যারা মুক্তিযোদ্ধা। তারা বঙ্গবন্ধু ও সংবিধান নিয়ে কোনো সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। তাই নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকেই সমালোচনা করেছেন। এটা মেনে নিতে হবে।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি দশম জাতীয় সংসদ নিয়ে বেসরকারি সংস্থা টিআইবি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। পার্লামেন্ট ওয়াচ নামক ওই প্রতিবেদনে দশম সংসদ সম্পর্কে বলা হয়েছে বর্তমানে সংসদে নামে বিরোধী দল রয়েছে। তারা কোনো ভূমিকা পালন করছে না। এছাড়া দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে অসংসদীয় আচরণ ও ভাষার ব্যবহার বন্ধে স্পিকার আহ্বান জানালেও কোনো রুলিং দেননি। সাবেক বিরোধী দলের সদস্যদের প্রসঙ্গে সরকারি দল এবং বর্তমান বিরোধী দলের সদস্যদের অসংসদীয় শব্দের ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে স্পিকার অনেক সময় নীরব থেকেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই